ইতিহাস তৈরি করল বৃষ্টি
শহরে যে বৃষ্টি হয়েছে গত ১৩ অক্টোবর তা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিল। এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হায়দরাবাদ ও মুম্বই : বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট অতি গভীর নিম্নচাপ গত মঙ্গলবার স্থলভাগে প্রবেশ করে। অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ঝড় বৃষ্টির তাণ্ডব। ঝড়ে তছনছ হতে থাকে চারধার।
ঝড়ের সঙ্গে অতি প্রবল বৃষ্টির অবিরাম ধারা দ্রুত বিভিন্ন নদী থেকে বিভিন্ন এলাকাকে জলে ভরতে থাকে। খোদ হায়দরাবাদ শহর জলের তলায় চলে যায়।
মানুষকেও ভাসতে দেখা গেছে শহরের অলিগলি দিয়ে বইতে থাকা স্রোতে। খড়কুটোর মত ভেসেছে জলের তলায় হারিয়ে যাওয়া শহরের অনেক গাড়ি। অধিকাংশ রাস্তা জলের তলায় চলে যায়।
আবহাওয়া দফতর এক চমকে দেওয়া খতিয়ান দিয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে গত ১৩ অক্টোবর হায়দরাবাদ শহরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা তার আগে কখনও ওই শহরে হয়নি। ফলে বৃষ্টি নতুন ইতিহাস লিখেছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মত বৃষ্টিতে ভেসে গেছে তেলেঙ্গানাও। এখন সেখানে বৃষ্টি একটু কমলেও আগামী ৫ দিন বিভিন্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস। ফলে দুর্যোগের কাঁটা এখনও কাটেনি।
এদিকে মহারাষ্ট্রেও প্রবল দুর্যোগ অব্যাহত। সেখানেও বৃষ্টির অঝোর ধারাপাত। মধ্য, দক্ষিণ ও পশ্চিম মহারাষ্ট্রে প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। ইতিমধ্যেই প্রবল বর্ষণের জেরে দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃষ্টি হচ্ছে মুম্বই সহ কোঙ্কণ উপকূল জুড়ে। কোলাপুর, সোলাপুর, সাঙ্গলি, পুনে, সাতারার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। রত্নগিরি ও সিন্ধুদুর্গ জেলার জন্য আগামী ৪৮ ঘণ্টায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি চলবে অন্যত্রও।
অনেক জায়গায় বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষকে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ।
চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে আরব সাগরে আরও একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে। যা আরও বৃষ্টি ঝরাবে বলেই পূর্বাভাস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা