বিহার ভোটে অন্যতম তারকা প্রার্থী অন্য মোদী
বিহারে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে অক্টোবরের শেষ থেকে। এবার বিহার ভোটে প্রার্থী হয়েছেন অন্য মোদী। যাঁকে ঘিরে উৎসাহের অন্ত নেই।
পাটনা : যেখানেই যাচ্ছেন তাঁকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে মানুষের উৎসাহ। এই উৎসাহ তাঁর ভোট বাক্সেও প্রভাব ফেলবে কিনা জানা নেই, তবে প্রার্থী হিসাবে যখনই কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে যাচ্ছেন তখনই তাঁকে দেখতে মানুষের উৎসাহ নজর কাড়ছে।
আর কাড়বে নাই বা কেন! তিনি তো হুবহু দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! একদম এক দেখতে। হুট করে দেখলে অনেকের ভুলও হতে পারে তাঁকে নরেন্দ্র মোদী ভেবে। আর সেটাই তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে গেছে।
বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার হাথুয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন অভিনন্দন পাঠক। ৫৩ বছরের এই প্রৌঢ় ভোটে লড়ছেন বঞ্চিত সমাজ পার্টি নামে একটি দলের প্রার্থী হিসাবে।
তিনি অবশ্য কোন দলের থেকে ভোটে লড়ছেন এটা তাঁর কেন্দ্রের মানুষের কাছে দ্রষ্টব্য নয়। তাঁরা দেখছেন ওই ব্যক্তিকে। যাঁকে দেখলেই মনে হবে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী ভোট চাইতে দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন।
অভিনন্দনও জানেন তাঁকে নরেন্দ্র মোদীর মত দেখতে। এটাকেই তিনি কাজে লাগাচ্ছেন পুরোদস্তুর। তিনি শুধু দেখতে বলেই নয়, নকল করছেন নরেন্দ্র মোদীর কথা বলার ভঙ্গিকে। পোশাক পরাও মোদীর মতই ধরে রেখেছেন। হাঁটাচলাতেও তিনি নিজেকে মোদীর মত করে তুলতে চাইছেন।
কোথাও জনসভা থাকলে অভিনন্দন তাঁর বক্তব্য শুরুও করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মিত্রোঁ’ শব্দ দিয়ে। অবশ্য অভিনন্দন তাঁর কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে যাচ্ছেন সাইকেলে চেপে। যা তাঁকে কোথাও গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর থেকে আলাদা করেছে।
অভিনন্দন পাঠক আদপে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার বাসিন্দা। তিনি প্রথম সংবাদমাধ্যমের নজরে আসেন ২০১৪ সালে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী বারাণসী কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন। তখন নরেন্দ্র মোদীর হয়ে চুটিয়ে প্রচার করেন অভিনন্দন।
মোদীর মত দেখতে কাউকেও তাঁর হয়ে প্রচার করতে দেখে মানুষের নজরে পড়েন তিনি। এখন অবশ্য বিহারের ভোটে লড়তে নেমে তিনি জানিয়ে দিয়েছে বর্তমানে তিনি নরেন্দ্র মোদীর সমর্থকও নন, সমালোচকও নন। তিনি ভোটে লড়ছেন বিহারের উন্নতির লক্ষ্যকে সামনে রেখে।