ঘন জঙ্গলে শ্যুটআউটে মৃত ৩ মহিলা মাওবাদী
মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই নতুন নয়। গড়চিরোলির জঙ্গলে ফের মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই হল সুরক্ষাবাহিনীর। যাতে মৃত্যু হল ৫ মাওবাদীর।
গড়চিরোলি (মহারাষ্ট্র) : মাওবাদীদের দলে মহিলাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেক রক্তক্ষয়ী মাওবাদী হানায় তারা যথেষ্ট সংখ্যায় দলে থাকে। সুরক্ষাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়েও মহিলা মাওবাদীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমনটা হল মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলির জঙ্গলে।
রবিবার ভোরে গড়চিরোলির কোসমি-কিসনেলি-র গহন জঙ্গলে টহলে ছিল সুরক্ষাবাহিনী। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। ঘড়ির কাঁটায় ৪টে বাজে। ভোর হয় হয় অবস্থা। এখানে জঙ্গল খুবই ঘন। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই মাওবাদীদের হানার মুখে পড়ে সুরক্ষাবাহিনী।
মাওবাদীরা সুরক্ষাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করতেই পজিশন নেয় সুরক্ষাবাহিনী। অ্যান্টি-নকশাল (মাওইস্ট) অপারেশনস সি-৬০ কমান্ডোরা পাল্টা গুলি চালায়। শুরু হয় মাওবাদীদের সঙ্গে সুরক্ষাবাহিনীর গুলির লড়াই।
বেশ কিছুটা সময় গুলির লড়াই চলার পর কমান্ডোদের গুলির মুখে জঙ্গলে পালায় মাওবাদীরা। কমান্ডোরাও শুরু করেন পিছু ধাওয়া। পরে মাওবাদীরা জঙ্গলে হারিয়ে যায়। তবে ৫ জন মাওবাদী ততক্ষণে কমান্ডোদের গুলিতে মারা গেছে।
যে ৫ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয় তার মধ্যে ৩ জন মহিলা। ৫ জনের দেহই ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল কিনা। তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে কোনও পুরস্কার ঘোষণা হয়েছিল কিনা। মাওবাদীদের মধ্যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল এই ৫ জন, তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিনের অপারেশনে ৫ মাওবাদীকে হত্যা করতে পারাকে বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে সুরক্ষাবাহিনী। আরও বড় বিষয় হল এই অপারেশনে ৫ মাওবাদীর মৃত্যু হলেও মাওবাদীদের গুলিতে কোনও কমান্ডোর কোনও ক্ষতি হয়নি। সকলেই অক্ষত আছেন।
প্রসঙ্গত গত কয়েকমাসে মাওবাদী নিকেশে মহারাষ্ট্র সরকার জোরদার অপারেশনে জোর দিয়েছে। মাওবাদী ডেরা খুঁজে বা মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলে টহল দিয়ে মাওবাদীদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে জোরকদমে। যাতে মহারাষ্ট্র থেকে মাওবাদী দাপট মুছে ফেলা সম্ভব হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা