নিজের ওপর হামলার নাটকে গ্রেফতারির মুখে পুরোহিত
তাঁর ওপর হমলা হয়েছে। কারা হামলা করেছে তাও জানিয়েছিলেন এক মন্দিরের পুরোহিত। তদন্তে নেমে পুলিশ কিন্তু অন্য কাহিনি জানতে পারল।
গোণ্ডা (উত্তরপ্রদেশ) : গত ১০ অক্টোবর রাত। মন্দিরের মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিলেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সম্রাট দাস। সেই সময় তাঁর ওপর কয়েকজন দুষ্কৃতি হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সম্রাট দাসকে পরদিন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই পুরোহিতের অভিযোগক্রমে অমর সিং নামেও একজনকে গ্রেফতারের জন্য তৈরি হচ্ছিল পুলিশ।
তদন্তে নেমে কিন্তু অন্য কাহিনি পুলিশের সামনে এল। এবার অমর সিং নয়, বরং পুরোহিতকেই গ্রেফতার করতে তৈরি পুলিশ। অপেক্ষা কেবল তিনি হাসপাতালে থেকে মুক্তি পাওয়ার।
সম্রাট দাসকে গ্রেফতারের আগে অবশ্যই এই ঘটনায় ৭ জনকে গত শনিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর যে ২ জনকে পুরোহিতের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের ছেড়ে দিয়েছে তারা।
পুলিশ জানাচ্ছে অমর সিংয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল ওই পুরোহিতের। অমর সিংয়ের ১২০ বিঘা জমি দখলে নিতে চাইছিলেন সম্রাট দাস। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন গ্রাম প্রধান সহ বেশ কয়েকজন। পরিকল্পনা সাজানো হয় অমর সিংয়ের বিরুদ্ধে।
অমর সিংকে ফাঁসাতে পুরোহিতের ওপর মন্দিরের মধ্যেই হামলা হয়। তবে সেই হামলা তাঁরা নিজেরাই সাজিয়েছিলেন। সাজিয়ে হামলা হয় অমর সিংকে ফাঁসাতে।
সেই লক্ষ্যে তাঁরা অনেকটা সফলও হয়েছিলেন। কারণ পুরোহিতের ওপর রাতে মন্দিরে ঢুকে গুলি বন্দুক নিয়ে হামলার ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় বিরোধীরা।
এমনকি পুরোহিতদের একটা বড় অংশ এর বিহিত চেয়ে সোচ্চার হন। চাপে পড়ে যায় সরকার। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তারপরই তারা এই ঘটনা জানতে পারে।
তাঁর ওপর ভুয়ো হামলা চালানোর অভিযোগে আপাতত পুলিশ অপেক্ষায় রয়েছে পুরোহিত সম্রাট দাস কখন হাসপাতালে থেকে ছাড়া পাবেন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
ইতিমধ্যেই গ্রাম প্রধান সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডা এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা