বিজয়ায় পুজো দিতে রাবণের মন্দিরে ভক্তদের ঢল
রাবণের মন্দিরে দশেরার দিন নামল ভক্তের ঢল। এই ভিড় অবশ্য প্রতি বছরই নজর কাড়ে। লম্বা লাইন পড়ে ভক্তদের। রাবণের পুজো দিতে ভিড় বাড়তেই থাকে।
কানপুর (উত্তরপ্রদেশ) : এ রাজ্যে বিজয়াদশমী মানেই দেশজুড়ে দশেরা। দশেরার দিন রামের তিরে রাবণ বধ হয়। রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও ইন্দ্রজিতের অতিকায় পুতুল বানিয়ে তাতে করা হয় অগ্নিসংযোগ। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে রাবণের মূর্তি। অশুভের ওপর জয় হয় শুভ শক্তির।
রামলীলা অনেক জায়গায় দশেরার দিন প্রধান আকর্ষণ হয়। সেখানে রামের হাত থেকে ছোঁড়া হয় তির। যা প্রতীকী ভাবে গিয়ে আঘাত করে রাবণের মূর্তিতে। তারপর তা জ্বলে ওঠে।
সারা দেশজুড়েই অশুভকে পরাস্ত করে শুভ শক্তির জয়ের উদযাপন হয়। আর ঠিক ওই দিনেই কিনা রাবণের পুজো! অবাক করা হলেও এটাই সত্যি।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে রয়েছে দেশের একমাত্র রাবণের মন্দির। অবাক করার হলেও, ওই মন্দিরের দরজা বছরে মাত্র ১ দিনই খোলা হয় ভক্তদের জন্য। দশেরার দিন খোলা হয় রাবণ মন্দিরের দরজা।
আরও যেটা অবাক করার মত তা হল ওইদিন রাবণের পুজো দিতে বহু মানুষের ঢল নামে মন্দিরের সামনে। লম্বা লাইন পড়ে যায়। রাবণের পুজো দিতে দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ হাজির হন মন্দিরে।
মন্দিরটি ১৫০ বছরের পুরনো। কানপুরের শিবালা এলাকায় মন্দিরটি অবস্থিত। দশেরার সন্ধেয় ভক্তরা মন্দির চত্বর প্রদীপের আলোয় ভরিয়ে দেন। রাবণের মূর্তির পুজো হয়। হয় আরতি।
রাবণ এই মন্দিরে শক্তি ও জ্ঞানের জন্য পূজিত হন। রাবণ ছিলেন ভগবান শিবের পরম ভক্ত। তাঁর শক্তি ও জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিল অপার। রাবণের সেই ২ গুণই এখানে পূজিত হয়।
এই রাবণ মন্দির এখানে একটি শিব মন্দির চত্বরের মধ্যেই রয়েছে। যেখানে শিব মন্দিরের রক্ষী হিসাবেও তিনি পূজিত হন। অনেকের ধারণা রাবণের দশেরার দিন শুধু মৃত্যুই হয়নি, ওইদিনই রাবণের জন্মও হয়। দিনটি রাবণের জন্মদিনও।
কথিত আছে রাবণ যখন মৃত্যুর মুখে, তখন রাম তাঁর ভাই লক্ষ্মণকে রাবণের কাছে গিয়ে তাঁর আশির্বাদ নিতে বলেন। কারণ রাবণ ছিলেন অপার জ্ঞানের অধিকারী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা