দেশে ৬ লক্ষের নিচে নামল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা
দেশে একদিন ৩০ হাজারি ঘরে নামলেও এখন দৈনিক সংক্রমণ ৪০ হাজারি ঘরে ঘোরাফেরা করছে। এদিন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষেরও নিচে নেমে গেছে।
নয়াদিল্লি : ভারত সংক্রমণের সর্বোচ্চ শিখর পার করে এসেছে। এমনই জানিয়েছে ‘ন্যাশনাল সুপারমডেল কমিটি ফর কোভিড-১৯’। সেপ্টেম্বরে যে করোনার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেশ দেখেছে অক্টোবরে সেই দৈনিক বৃদ্ধি নজরে পড়েনি। বরং প্রথম দিকে ৭০ হাজারি ঘরে এবং পরে তা নেমে ৬০ হাজারি ঘরেই থাকছিল।
তারপর টানা ৫০ বা ৪০ হাজারি ঘরে ঘুরেছে দৈনিক সংক্রমণ। মাঝে একদিন আগে তা আরও নেমে ৩০ হাজারি ঘরে ঢুকে পড়ে। এখন অবশ্য তা ৪০ হাজারি ঘরেই ঘোরাফেরা করছে।
তবে সব মিলিয়ে দেশে সংক্রমণ কিন্তু এখন নিম্নমুখী। যা অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে। অন্যদিকে এদিনও সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা নতুন সংক্রমিতের চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে।
গত একদিনে দেশে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৬৪৮ জন। গত একদিনে দেশে ১১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৪৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে ৮০ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫১ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা নেমে গেছে ৬ লক্ষেরও নিচে। দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৮৬ জনে। একদিনে কমেছে ৯ হাজার ৩০১ জন।
অক্টোবরে দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৩ অঙ্কের ঘরেই অধিকাংশ সময় থেকেছে। ২ দিন মৃত্যু ৫০০-র নিচেও নেমেছিল। এখন তা রয়েছে ৫০০-র ঘরে। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৬৩ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯০ জন। ১.৫০ শতাংশ মৃত্যু হার রয়েছে দেশে।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনেও সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ হাজার ৩৮৬ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৭৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৭৫ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৯১ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা