ভোটে দাঁড়াতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যবসায়ী
ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দল টিকিট দেয়নি। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভোটে দাঁড়াতে না পেরে অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন এক ব্যবসায়ী।
গাজিপুর (উত্তরপ্রদেশ) : যাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা অনেকেই চান ভোটে দাঁড়াতে। ভোটে দাঁড়াতে চেষ্টার অন্ত রাখেন না অনেকে। এমনও শোনা যায় যে ভোটে দাঁড়াতে দলের কোষাগারে টাকাও দেন অনেকে। তাঁকেও নাকি দলনেত্রী এমনই জানিয়েছিলেন। এমনই অভিযোগ করেছেন এক ব্যবসায়ী। যা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিলনা। ফলে ভোটের টিকিটও জোটেনি।
প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও টিকিট না পেয়ে একটা হতাশা গ্রাস করেছিল পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তিকে। তারপরই তিনি চরম পদক্ষেপ করেন। নিজেকে শেষ করে দেন। রেখে যান একটি সুইসাইড নোট। যা এখন কার্যত বিরোধীদের জন্য একটি বোমা হিসাবে সামনে এসেছে।
মুন্নু প্রসাদ নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে একটি সুইসাইড নোট লিখেছেন। যা পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেই সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন তিনি বহুজন সমাজ পার্টির টিকিটে ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তাতে রাজিও হয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী।
সুইসাইড নোটে ওই ব্যক্তির দাবি, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী তাঁকে টিকিট দিতে রাজি হলেও জানিয়ে দেন তাঁকে এজন্য ২ কোটি টাকা দিতে হবে। তবেই মিলবে টিকিট। সেই টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিলনা। তাই তিনি টিকিট পাননি।
সুইসাইড নোটে এমন এক ভয়ংকর অভিযোগে কার্যত মুখ পুড়েছে বিএসপি-র। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুন্নু প্রসাদ দাঁড়াতে চেয়ে আগেভাগেই তাঁর দল বিএসপি-র কাছে তদ্বির শুরু করেছিলেন।
তিনি সুইসাইড নোটে কার্যত টাকা দিতে না পারার জন্য টিকিট না পেয়ে চরম পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানিয়ে গেছেন। এদিকে সুইসাইড নোটটি মুন্নু প্রসাদেরই লেখা কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাই তার সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। যতক্ষণ না সুইসাইড নোট যাচাই হচ্ছে ততক্ষণ কিছু বলা যাবেনা বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিএসপি অবশ্য পাল্টা দাবি করেছে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাদের দলের কোনও যোগ নেই। এটা বিএসপি-কে কলুষিত করার একটা চেষ্টা। যদিও মুন্নু প্রসাদের প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন মুন্নু প্রায়ই বিএসপি-র বিভিন্ন দলীয় সভায় যেতেন। তিনি ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন বলেও কয়েকজনকে জানিয়েছিলেন মুন্নু। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা