দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা হলেও বাড়ল
৩০ হাজারি ঘরে নেমেও তা ধরে রাখতে পারছেনা সংক্রমণ। ফের তা পৌঁছে গেল ৪০ হাজারি ঘরে। মৃত্যুও ৪০০-র ঘর ছেড়ে ৫০০-র ঘরে পৌঁছে গেল।
নয়াদিল্লি : অক্টোবর জুড়েই দেশে সংক্রমণ ক্রমশ নিচে নেমেছে। কমেছে মৃত্যুও। নভেম্বরে পড়েও সেই অক্টোবরের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। অক্টোবরে সংক্রমণ কমে ৭০ হাজার, তারপর ৬০ হাজার হয়ে ৫০ হাজারি ঘরে নামে। তারপর আরও নেমে ৪০ হাজারি ঘরে ঘুরেছে দৈনিক সংক্রমণ। মাঝে একদিন তো ৩০ হাজারি ঘরেও প্রবেশ করে সংক্রমণ।
সব মিলিয়ে অক্টোবরে দেশে সংক্রমণ ছিল নিম্নমুখী। যা অবশ্যই আশার আলো দেখিয়েছে। নভেম্বরে পড়েও সেই ধারা বজায় রয়েছে। অবশ্য আগের দিন ৩০ হাজারি ঘরে নেমেও ফের ওপরে উঠেছে সংক্রমণ।
এদিনও সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা নতুন সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। গত একদিনে দেশে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ২৫৩ জন। গত একদিনে দেশে ১২ লক্ষ ৯ হাজার ৬০৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা অনেকটা বেড়েছে।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে ৮৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৮৭ জনে। একদিনে কমেছে ৭ হাজার ৬১৮ জন।
অক্টোবরে দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৩ অঙ্কের ঘরেই অধিকাংশ সময় থেকেছে। অক্টোবরের শেষে ৫০০-র ঘরেই ছিল দৈনিক মৃত্যু। নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে পরপর ৩ দিন ৪০০-র ঘর ধরে রাখে মৃতের সংখ্যা। কিন্তু গত একদিনে তা ফের পৌঁছে গেছে ৫০০-র ঘরে। মৃত্যু হয়েছে ৫১৪ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১১ জন। ১.৪৯ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনেও সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৩ হাজার ৩৫৭ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৭৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৭৮ জন। দেশে সুস্থতার হার প্রায় ৯২ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা