National

সেলফির নেশা কেড়ে নিল তরতাজা যুবতীর প্রাণ

সেলফির নেশা বারবার ভয়ংকর প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়নি। তাই অকালে প্রাণ দিতে হল এক তরতাজা যুবতীকে।

ইন্দোর : সেলফি তোলা তো যায়। কিন্তু যদি এটা প্রমাণ করা যায় যে যে সেলফি তোলা হল তাতে রীতিমত ঝুঁকি ছিল। আর সেখানেই হাসি মুখে যুদ্ধ জয়ের মত করে সেলফি তুলে ফেলেছেন তিনি। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া জগতে কদর বোধহয় বাড়ে। অন্তত এমনটা মনে করেন কেউ কেউ।

কিন্তু এমন ঝুঁকি নিতে গিয়ে জীবনে কখনও কখনও নেমে আসে অন্ধকার। তখন আর ভুল শোধরানোর সময়টুকুও দেয়না জীবন। যেমনটা দিল না ৩০ বছরের যুবতী নীতু মাহেশ্বরীকে।


নীতু গিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে পিকনিক করতে। ইন্দোর শহরের কাছেই রয়েছে একটি পাহাড় ঘেরা সবুজে মোড়া পিকনিক স্পট। অনেকেই সেখানে হাজির হন পিকনিক করতে।

প্রকৃতির বুকে একটু সময় কাটিয়ে যেতে। চারিদিকে পাহাড়। মাঝে সবুজ উপত্যকা। প্রকৃতি এখানে অপার সৌন্দর্য নিয়ে হাজির। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে পিকনিক করছিলেন নীতু।


এমন একটা সুন্দর জায়গায় ছবি তুলতে সকলেরই মন চায়।। নীতুও ছবি তুলছিলেন। এভাবেই তিনি স্থির করেন সেলফি তুলবেন। তাও আবার পিছনে বিশাল উপত্যকা রেখে।

উপত্যকার ছবি নিজের সঙ্গে নিতে নীতু একদম খাদের কিনারায় চলে যান। সেখান থেকেই ফ্রেমে আসছে রোমহর্ষক সেলফি। আর ঠিক সেই সময়ই তাঁর পা যায় হড়কে।

সেলফির নেশায় পা হড়কে নীতু মাহেশ্বরী সোজা গিয়ে পড়েন খাদের নিচের উপত্যকার বুকে। মুহুর্তে শেষ হয়ে যায় জীবন। সেলফির নেশা নিমেষে কেড়ে নেয় ৩০ বছরের এক তরতাজা যুবতীর প্রাণ।

উপত্যকায় পড়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় নীতুর খোঁজ। গহন বনানীর মধ্যে থেকে ৪ ঘণ্টা ধরে খোঁজার পর মেলে দেহ। উদ্ধারকারীরা জানান যুবতীর সারা গায়ে লেপ্টে ছিল ঝোপ জঙ্গল। দ্রুত দেহটি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।

এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে সেলফির নেশাই প্রাণ কাড়ল, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে। পরিবারের লোকজন সহ আশপাশে যাঁরা ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button