বিমানে চড়া নিয়ে শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ ঘোরাল হচ্ছে রাজনীতি। এদিন সেনা সাংসদরা একযোগে তাদের সাংসদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে সুর চড়ান। লোকসভায় এদিন এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু জানান, রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের ওপর থেকে বিমানে চড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। এরপরই শোরগোল শুরু করেন সেনা সাংসদরা। আর যাঁকে নিয়ে এতকিছু সেই রবীন্দ্র গায়কোয়াড় সাফ জানিয়ে দেন তিনি যদি কাউকে আঘাত করে থাকেন তবে তার জন্য সংসদে ক্ষমা চাইতে রাজি আছেন। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার কোনও আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইবেন না। গত ২৩ মার্চ পছন্দমত জায়গা না পেয়ে পুনে থেকে দিল্লি পৌঁছন এয়ার ইন্ডিয়ার আধিকারিকের সঙ্গে তর্ক জোড়েন রবীন্দ্র গায়কোয়াড়। বিমান দিল্লি অবতরণের পরও তাঁকে বিমান থেকে নামানো যাচ্ছিল না। বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে তাঁকে বোঝাতে আসা আধিকারিককে জুতোপেটা করেন সেনা সাংসদ। তাঁকে বিমান থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করতে গেলে মিডিয়াকে সাফ জানান তিনি যা করেছেন ঠিক করেছেন। এরপরই তাঁকে বিমানে চড়তে দিয়ে বেঁকে বসে এয়ার ইন্ডিয়া। এই ইস্যুতে এয়ার ইন্ডিয়ার পাশে দাঁড়ায় অন্য বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলিও। সবাই একযোগে জানিয়ে দেয় রবীন্দ্র গায়কোয়াড়কে তারা বিমানে যাত্রা করতে দেবেনা। এরপর থেকে ট্রেনেই যাবতীয় সফর সারতে হচ্ছে সেনা সাংসদকে। এদিকে রবীন্দ্র গায়কোয়াড়কে বিমানে সফর করতে না দিলে তারা মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের কোনও বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা করতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছে শিবসেনা। এই হুমকিকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। মহারাষ্ট্রের সব বিমানবন্দরে আরও সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করেছে তারা।