চন্দনকাঠের হাত ধরে পর্যটকদের জন্য নয়া আকর্ষণ
চন্দনকাঠের নামে লুকিয়ে আছে একটা বর্ধিষ্ণু ব্যাপার। সেই চন্দনকাঠ নিয়ে মানুষের আকর্ষণও কম নয়। এবার সেটাই পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ তৈরি করছে।
মাইসুরু : চন্দনকাঠ নামটা শুনলেই বেশ একটা পুজো পুজো গন্ধ নাকে আসে। বহুমূল্য কাঠ হিসাবে চন্দনকাঠের জুড়ি মেলা ভার। সব মিলিয়ে চন্দনকাঠের প্রতি সাধারণ মানুষের সম্ভ্রম ও আকর্ষণ দুইই রয়েছে।
চন্দনকাঠের প্রতি মানুষের এই অমোঘ আকর্ষণ ও উৎসাহের কথা মাথায় রেখেই এবার উদ্যোগী হল চন্দনকাঠের জন্য বিখ্যাত কর্ণাটক। কর্ণাটকের মাইসুরু শহর এমনিতেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। সেখানে পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণের বন্দোবস্ত করল কর্ণাটক সরকার।
মাইসুরুতে সবচেয়ে বিখ্যাত সেখানকার প্রাসাদ মাইসুরু প্যালেস। সেই রাজপ্রাসাদ চত্বরেই আনার ব্যবস্থা হচ্ছে একটি চন্দনকাঠের মিউজিয়াম।
প্রথমে অবশ্য বন বিভাগ স্থির করেছিল তাদের চত্বরেই তৈরি হবে এই মিউজিয়াম। সে কাজ অনেকটা এগিয়েও যায়। পরে তা সরানো হবে বলে স্থির হয় মাইসুরু প্যালেসে। কারণ ওখানে পর্যটকদের আনাগোনা সারা বছর। সেখানেই মিউজিয়ামটি হলে সেখানে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ তৈরি হবে।
ভারতে এই প্রথম কোনও চন্দনকাঠের মিউজিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। মিউজিয়ামটি ৫৫ ফুট বাই ২৬ ফুট জায়গায় তৈরি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে না বলে বলা ভাল তা প্রায় তৈরি হয়েই গিয়েছে। এখন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সময় দেওয়ার অপেক্ষা। কারণ তিনিই ফিতে কেটে মিউজিয়ামটির উদ্বোধন করবেন।
মিউজিয়ামে থাকবে বিভিন্ন ধরনের চন্দনকাঠ। এছাড়া চন্দনকাঠের মান অনুযায়ী তার বিভাজন কীভাবে হয় তাও দেখানো হবে। চন্দনকাঠের টুকরো ও চন্দনকাঠের গুঁড়ো রাখা থাকবে পর্যটকদের দেখার জন্য।
এছাড়া থাকবে চন্দনকাঠ সম্বন্ধে নানা তথ্য সম্বলিত পোস্টার। সব মিলিয়ে একজন এই মিউজিয়ামে প্রবেশের পর চন্দনকাঠ সম্বন্ধে একটা স্বচ্ছ ধারণা সংগ্রহ করে বার হবেন এখান থেকে।
তবে এটা সকলেই মেনে নিচ্ছেন মিউজিয়ামটিকে মাইসুরু জঙ্গলে নয়, মাইসুরু প্যালেসেই রাখতে হবে। তবেই মিলবে পর্যটকদের আকর্ষণ। কারণ কেবল চন্দনকাঠের মিউজিয়াম দেখতে খুব কম মানুষই জঙ্গলে যাবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা