দেশে আরও বাড়ল সংক্রমণ ও মৃত্যু
দেশে মৃত্যু ও সংক্রমণ ফের উর্ধ্বমুখী। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বাড়ল সংক্রমণ ও মৃত্যু। পাশাপাশি বাড়ল সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও।
নয়াদিল্লি : অক্টোবর জুড়েই দেশে সংক্রমণ ক্রমশ নিচে নেমেছে। কমেছে মৃত্যুও। নভেম্বরে পড়েও সেই অক্টোবরের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। তবে কিছুটা ওঠানামা করছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।
গত অক্টোবরে সংক্রমণ কমে প্রথমে ৭০ হাজার, তারপর ৬০ হাজার হয়ে ৫০ হাজারি ঘর এবং তারপর আরও নেমে ৪০ হাজারি ঘরে ঘুরেছে। মাঝে একদিন তো ৩০ হাজারি ঘরেও প্রবেশ করে সংক্রমণ। সব মিলিয়ে অক্টোবরে দেশে সংক্রমণ ছিল নিম্নমুখী। যা অবশ্যই আশার আলো দেখিয়েছে।
নভেম্বরে পড়েও সেই ধারা বজায় রয়েছে। নভেম্বরে গত মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য ৩০ হাজারি ঘরে নামে দেশের একদিনে সংক্রমণ। বুধবার থেকে তা ফের উর্ধ্বমুখী। এদিনও সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা নতুন সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে।
গত একদিনে দেশে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৯০৫ জন। গত একদিনে দেশে ১১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৫৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা কিছুটা বেড়েছে।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে ৮৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯১৬ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। গত একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ২৯৪ জন। একদিনে কমেছে ৫ হাজার ৩৬৩ জন।
অক্টোবরে দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৩ অঙ্কের ঘরেই অধিকাংশ সময় থেকেছে। অক্টোবরের শেষে ৫০০-র ঘরেই ছিল দৈনিক মৃত্যু। নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে পরপর ৩ দিন ৪০০-র ঘর ধরে রাখে মৃত্যুর সংখ্যা। তারপর ফের তা বেড়ে গিয়েছিল। আবার তা গত মঙ্গলবার ৪০০-র ঘরে ফিরে আসে। তবে গত ২ দিনে তা ফের বাড়ল।
গত একদিনে মৃত্যু হল ৫৫০ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ১২১ জন। ১.৪৮ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনেও সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫২ হাজার ৭১৮ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৮০ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫০১ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৯২ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা