সম্মান যে নিল তার মৃত্যুর খবরে নিজেকে শেষ করলেন যুবতী
কিছুটা অবাক করা ঘটনা। যে তাঁর সম্মান হরণ করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক যুবতী, সেই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
কানপুর (উত্তরপ্রদেশ) : বিয়েটা হয়েছিল ধুমধাম করেই। শ্বশুরবাড়িতেও কোনও সমস্যা ছিলনা। বেশ কাটছিল বিবাহিত জীবন। কিন্তু আচমকাই ওই যুবতীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। অকালেই মৃত্যু হয় স্বামীর।
স্বামী চলে যাওয়ার পর তিনি আর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাননি। ফিরে আসেন বাপের বাড়িতে। তারপর বাপের বাড়ির কাছেই একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এখানে থাকাকালীনই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় জিতেন্দ্র নামে এক যুবকের।
জিতেন্দ্র কর্মরত ছিল স্থানীয় থানায়। সেখানে কনস্টেবল পদে ছিল সে। জিতেন্দ্রর সঙ্গে ওই যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।
প্রায়ই ওই যুবতীর বাড়িতে আসাযাওয়া শুরু করে জিতেন্দ্র। এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর একদিন ওই যুবতী হঠাৎই হাজির হন স্থানীয় থানায়। সেখানে তিনি জিতেন্দ্রর নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি থানায় দাবি করেন জিতেন্দ্র তাঁকে বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করে জিতেন্দ্র। কিন্তু এখন যখন তাঁকে বিয়ে করার জন্য যুবতী চাপ দিচ্ছেন তখন জিতেন্দ্র বেঁকে বসেছে।
জিতেন্দ্র সাফ জানিয়েও দিয়েছে সে ওই যুবতীকে বিয়ে করবেনা। যুবতী পুলিশে জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই মহিলার অভিযোগক্রমে জিতেন্দ্রকে সাসপেন্ড করে পুলিশ। সাসপেন্ড থাকাকালীনই জিতেন্দ্র নিজের গ্রামে যাচ্ছিল। বাইকে যাচ্ছিল সে। সেই বাইকটি রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জিতেন্দ্রর।
এই খবর পৌঁছয় ওই যুবতীর কাছে। পাড়াপড়শিদের দাবি এরপর ওই যুবতীর ঘর থেকে তাঁরা চিৎকারের শব্দ পান। তাঁরা সেখানে হাজির হয়ে দেখেন ওই যুবতী গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলছেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।
পরে পুলিশ জানায়, ওই যুবতীর তাঁর হাতে লিখেছিলেন জিতেন্দ্র মেরি জান। তিনি একটি সুইসাইড নোটও রেখে গেছেন। তাতে লেখা ছিল তিনি জিতেন্দ্রকে এতটাই ভালবাসেন যে জিতেন্দ্র ছাড়া তিনি বাঁচবেন না।
পুলিশ আরও জানায় যে ওই যুবতী তাঁর হাতের তালুতে মেহেন্দি দিয়ে জিতেন্দ্র ও নিজের নাম লিখে রেখেছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা