অযোধ্যায় ফিরলেন ভগবান রাম
অযোধ্যায় ফেরা ভগবান রামের রাজতিলক করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হল রাজ্যাভিষেকও। আকাশ থেকে ঝরে পড়ল ফুলের পাপড়ি।
অযোধ্যা : লঙ্কার রাজা রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত করে ১৪ বছরের বনবাস সেরে যেদিন অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরেছিলেন সেই দিনটি ছিল অযোধ্যাবাসীর জন্য বড়ই আনন্দের। শ্রীরামচন্দ্রের ফেরার আনন্দে তাঁরা সারা শহরকে প্রদীপের আলোয় সাজিয়ে তুলেছিলেন। সেই আলোকসজ্জাকেই সামনে রেখে দীপাবলি উৎসবের প্রচলন হয়। আলোয় সেজে ওঠা সেই শ্রীরামের অযোধ্যায় ফেরত আসার উৎসবমুখর দিনকেই যেন ফের একবার ফুটিয়ে তুলল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
শুক্রবার বিকেল সন্ধের মুখে গোধূলি আলোয় রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, শত্রুঘ্ন, ভরত ও হনুমান হাজির হলেন অযোধ্যায়। সমবেত সকলে শ্রীরামের নামে জয়ধ্বনি দিতে লাগলেন। আকাশ থেকে তখন তাঁদের ওপর ঝরে পরছে অসংখ্য ফুলের পাপড়ি।
হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছে আকাশে। আর সেই হেলিকপ্টার থেকেই রাম, সীতা, লক্ষ্মণের ওপর বর্ষিত হচ্ছে ফুল। আর বহু মানুষ সোল্লাসে চিৎকার করে রামের আগমনকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
এমনই এক পরিবেশ সৃষ্টি হল অযোধ্যায়। অযোধ্যায় প্রবেশ করে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, শত্রুঘ্ন, ভরত ও হনুমান সেজে আসা কুশীলবরা একটি রাজকীয় রথে চেপে বসেন। সেই রথ তাঁদের নিয়ে হাজির হয় সরযূ নদীর তীরে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল সহ রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরা। ছিলেন গেরুয়া ও গোলাপি পাগড়ি মাথায় দিয়ে উত্তরপ্রদেশের পদস্থ সরকারি আধিকারিকরা।
রথ সরযূ নদীর তীরে পৌঁছতে শুরু হয় রামের রাজ্যাভিষেক পর্ব। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামের কপালে এঁকে দেন রাজতিলক। রাজ্যাভিষেক হয় রামের। এরপর হয় ভরত মিলাপ পর্ব।
রামের অবর্তমানে তাঁর পাদুকা ২ খানা সিংহাসনে রেখে অযোধ্যা শাসন করেছিলেন ভরত। ভাই ভরতকে এদিন বুকে টেনে নেন রাম। পুরো অনুষ্ঠানকে সেভাবেই সাজানো হয়েছিল যেন সত্যিই মনে হয় রাম ১৪ বছরের বনবাস সেরে রাবণকে হারিয়ে অযোধ্যায় ফিরলেন।
এদিনই অযোধ্যায় দীপোৎসব-এর সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। একটি দিয়া জ্বালিয়ে উৎসবের সূচনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত সরযূ নদীর তীরে এই দীপোৎসব ইতিমধ্যেই বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। একটি জায়গায় একই সঙ্গে সাড়ে ৫ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে এই রেকর্ড আগেই গড়া হয়ে গেছে দীপাবলিতে অযোধ্যার দীপোৎসব উৎসবের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা