বিয়ের আনন্দ ম্লান করে শেষ এক পরিবারের ১৪টি প্রাণ
বিয়ের আনন্দের রেশ তখনও কাটেনি। পরিজনের বিয়ে মানেই তো চুটিয়ে আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দ ম্লান করে একই পরিবারের ১৪ জনের প্রাণ গেল নিমেষে।
লখনউ : পরিজনের বিয়েতে যোগ দিতে গিয়েছিল গোটা পরিবার। বিয়েতে আনন্দও হয় চুটিয়ে। তারপর স্থির হয় পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়ি বাচ্চাদের নিয়ে মহিন্দ্রা বোলেরো গাড়িতে বাড়ি ফিরবেন। সেইমত গত বৃহস্পতিবার পরিবারের ৮ জন পুরুষ সদস্য ও ৬টি বাচ্চা ওই এসইউভি-তে চেপে বসেন। গাড়ি ছোটে তাঁদের বাড়ির দিকে।
রাত তখন পৌনে ১২টা। গাড়িটা দুরন্ত গতিতে ছুটে যাচ্ছিল লখনউ-প্রয়াগরাজ হাইওয়ে ধরে। দেশরাজ আইনারা গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
সেসময় টায়ার ফেটে যাওয়ায় রাস্তায় ধারে একটি লরি দাঁড় করানো ছিল। চলছিল টায়ার মেরামতির কাজ। সেই রাস্তার ধারে দাঁড়ানো লরির পিছনে প্রবল গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে এসইউভি-টি। পুলিশ জানাচ্ছে গাড়িটি এত গতিতে ছিল যে গাড়ির অর্ধেক অংশই দুমড়ে লরির পিছনে ঢুকে যায়।
পুলিশ দ্রুত হাজির হয় ঘটনাস্থলে। রাতেই আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। হাইওয়ে দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ জানাচ্ছে গাড়ি থেকে প্রথমে ৫ জনের দেহ উদ্ধার সম্ভব হলেও, বাকিদের ওভাবে বার করে আনা যায়নি।
পরে দুমড়ে যাওয়া অংশ ধীরে ধীরে বার করে আনার পর সেই দুমড়ে যাওয়া অংশ থেকে বাকি ৯টি দেহ বার করে আনা হয়।
পরিবারের ৬টি বাচ্চার দেহ বার করে আনার পর পুলিশ জানায় এদের বয়স ৭ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এছাড়া যে ৮ জন পুরুষ সদস্যের মৃত্যু হয় তাঁদের বয়স ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
দেহগুলি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর কেউই আর বেঁচে ছিলেননা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। ওই পরিবারের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। লরির মালিকের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে। এই ঘটনায় ওই পরিবারে এখন শুধু কান্নার রোল। গোটা গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা