দেশে ফের একটু একটু করে বাড়ছে সংক্রমণ
অক্টোবর ও নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে দৈনিক সংক্রমণের একটা নিম্নমুখী ধারা বজায় ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে ফের তা একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছে।
নয়াদিল্লি : অক্টোবরের পর নভেম্বরে পড়েও দেশে সংক্রমণ কমার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। কমবেশি হতে থাকলেও তা নিচের দিকে নামছিল। কিছুটা ওঠানামা করছিল সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।
অক্টোবরে দেশে সংক্রমণ ছিল নিম্নমুখী। যা অবশ্যই আশার আলো দেখিয়েছে। নভেম্বরেও সেই ধারা বজায় ছিল মাঝামাঝি পর্যন্ত। কিন্তু গত ৪ দিনে ফের তা একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে।
গত একদিনে দেশে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ২৩২ জন। গত একদিনে দেশে ১০ লক্ষ ৬৬ হাজার ২২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে ৯০ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। গত শুক্রবারের ছন্দপতনের পর এদিন অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশিই হয়েছে।
যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা একটু কমেছে। দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৪৭ জন। একদিনে কমেছে ৪ হাজার ৪৭ জন।
অক্টোবরে দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৩ অঙ্কের ঘরেই অধিকাংশ সময় থেকেছে। অক্টোবরের শেষে ৫০০-র ঘরেই ছিল দৈনিক মৃত্যু। নভেম্বরের এই সংখ্যাটা কখনও ৪০০ তো কখনও ৫০০-র ঘরেই অধিকাংশ সময় ঘোরাফেরা করেছে।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৬৪ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৭২৬ জন। ১.৪৭ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। যদিও গত একদিনেও সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৯ হাজার ৭১৫ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৮৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ১২৪ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা