গোটা গ্রাম সংক্রমণের শিকার হওয়ায় দোষ পড়ল পর্যটকদের ঘাড়ে
একটা গোটা গ্রামের সব বাসিন্দার করোনা ধরা পড়ায় বেজায় অসন্তুষ্ট স্থানীয় প্রশাসন। করোনার এই রমরমার জন্য তাঁরা পর্যটকদের কাঠগড়ায় চাপিয়েছেন।
মানালি : তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে। চারিদিকে যেদিকেই তাকানো যায় সর্বত্রই ছবির মত সৌন্দর্য। প্রকৃতি যেন তার অপার সৌন্দর্য নিয়ে এখানে পসরা সাজিয়ে বসে আছে। এছাড়াও পর্যটকদের আকর্ষিত করে এখানকার বৌদ্ধ স্থাপত্য।
সব মিলিয়ে হিমাচলের লাহুল স্পিতি-র রূপ স্বর্গীয়। সেই রূপের টানেই প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন এখানে। সাদা বরফের কোলে প্রকৃতির বুকে অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেন। তাই এখানে পর্যটক আনাগোনা লেগেই থাকে। সেই পর্যটকদের এখন কাঠগড়ায় চাপিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
লাহুল উপত্যকা এক অপরূপ সৌন্দর্যের ভাণ্ডার। সেখানেই রয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। তার একটি থোলাং। এই থোলাং গ্রামের বাসিন্দার সংখ্যা ৪২ জন। আর এই ৪২ জনের মধ্যে গ্রামের ৪১ জনই করোনা পজিটিভ।
গোটা গ্রামে মাত্র ১ জন রয়েছেন যাঁর নেগেটিভ এসেছে রিপোর্ট। ভূষণ ঠাকুর নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন তিনি করোনা আচরণবিধি মেনে চলেছেন। মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব, হাতে বারবার স্যানিটাইজার দেওয়া সবই করেছেন। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি তাঁর গোটা পরিবারের করোনা হলেও তিনি রেহাই পেয়েছেন তাঁর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার জোরে।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, গত ৩ অক্টোবর অটল টানেল খুলে দেওয়ার পর থেকেই লাহুল উপত্যকায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। ওই টানেল ধরে দ্রুত পৌঁছনো যাচ্ছে এখানে। ফলে নানা জায়গা থেকেই পর্যটকরা হাজির হচ্ছেন অবসর কাটাতে। পর্যটকদের থেকেই করোনা এভাবে লাহুল স্পিতি জেলা জুড়ে ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এমনকি ট্রাভেল এজেন্টরাও মেনে নিচ্ছেন অটল টানেল এখানে পর্যটক আনাগোনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই পর্যটকদের হাত ধরেই হিমালয়ের কোলে এখন করোনার ভয়ংকর থাবা এসে পড়েছে।
হালেই এই এলাকা করোনায় ছেয়ে গেছে। প্রতিটি গ্রামেই করোনা ছড়িয়েছে। আরও ছড়াচ্ছে চারধারে। মৃত্যুও হচ্ছে। সব মিলিয়ে করোনা এখন হিমালয়ের অপার সৌন্দর্যের স্বর্গীয় স্থানে তার দাপট দেখাতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে যেভাবে পর্যটকদের দিকে করোনা ছড়ানোর জন্য আঙুল উঠেছে তাতে এখানে আগামী দিনে পর্যটক আনাগোনা তলানিতে ঠেকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা