করোনা ম্যালেরিয়া ডেঙ্গিকে হারিয়ে এবার কেউটের ছোবল থেকেও রক্ষা
কী হয়নি এই কটা দিনে! ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি পরপর হয়। তারপর হয় করোনা। এবার কেউটের ছোবল খেয়েও প্রাণে বেঁচে গেলেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি।
ভারতে এসেছিলেন সামাজিক কাজে। রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র হস্তশিল্পীদের কাজ তিনি বিক্রির ব্যবস্থা করছিলেন। তাতে দরিদ্র শিল্পীরা রোজগারের মুখ দেখছিলেন। তাঁদের কাজ ব্রিটেনে বিক্রি করছিলেন তিনি।
শিল্পীদের পরিবারে সাচ্ছল্য আসছিল। এজন্যই ব্রিটেন থেকে রাজস্থানে এসেছিলেন ইয়ান জোনস। তারপর লকডাউন হয়ে যাওয়ায় তিনি আর ফেরত যেতে পারেননি দেশে। নিউ নর্মাল জীবনেও তাঁর কাজ থেমে নেই। তিনি কাজ করে যাচ্ছিলেন শিল্পীদের জন্য। এই অবস্থায় তাঁর ম্যালেরিয়া হয়।
ম্যালেরিয়ায় কাবু হওয়ার পর চিকিৎসা করে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। কাজ শুরু করেন। কিন্তু ফের আক্রান্ত হন তিনি। আর এক মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তিনি। ফের চিকিৎসা করে ডেঙ্গিকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে ওঠেন ইয়ান।
কিন্তু বিপদ যেন তাঁর পিছু ছাড়ছিল না। ডেঙ্গি ম্যালেরিয়াকে হারানোর পর তিনি আবার আক্রান্ত হন। সংক্রমিত হন করোনায়। ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ইয়ানকে। অবশেষে করোনাকেও সম্প্রতি হারিয়ে ফেরেন তিনি। সুস্থ হয়ে কাজেও লেগে পড়েন।
এখন তিনি কাজ করছিলেন যোধপুরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। এমনই একটি গ্রামে কাজ করার সময় কেউটের ছোবল খান ইয়ান। কেউটের ছোবল মানে প্রাণ যাওয়ার সম্ভাবনা। যদিও ইয়ানকে ছোবল খাওয়ার পর দ্রুত যোধপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসকেরা ইয়ানকে সুস্থ করে তোলেন। প্রাণে রক্ষা পান তিনি। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, করোনার পর এবার কেউটের ছোবলকেও হারিয়ে ইয়ান ফিরে এলেন হাসপাতাল থেকে।
এভাবে পরপর মারণ ব্যাধির পর কেউটের ছোবল খেয়েও রক্ষার কাহিনি এখন মুখে মুখে ঘুরছে। মুখে মুখে ঘুরছে এতগুলি বিপর্যয়কে জয় করে ইয়ানের ফিরে আসার কাহিনি।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ইয়ান জোনস এখন বিপদমুক্ত। তবে তাঁকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কিছুদিন বিশ্রাম নিতে হবে। সাবধানে থাকতে হবে।
জোনসের ছেলে এভাবে তাঁর বাবার লড়াই করে ফিরে আসার পর তাঁকে একজন যোদ্ধা বলে আখ্যা দিয়েছেন। জোনস দ্রুত এখন সুস্থ হয়ে ফের ফিরতে চাইছেন রাজস্থানের গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা দরিদ্র শিল্পীদের মুখে হাসি ফোটানোর লড়াইয়ে।