ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিভার, জারি হলুদ সতর্কতা
ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছিল সে। বঙ্গোপসাগরের ওপরই অবশেষে তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। এবার তা ধেয়ে আসছে স্থলভূমির দিকে। আগেভাগেই তাই শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা।
চেন্নাই : বঙ্গোপসাগরে তৈরি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান-এর স্মৃতি এখনও তাজা। তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিল সেই দানব ঝড়। ফের একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। যা একটি গভীর নিম্নচাপ থেকে শক্তি বাড়িয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে।
এবার তার স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসার পালা। ইতিমধ্যেই তা স্থলভাগের অভিমুখে আগুয়ান হওয়া শুরু করেছে। যা বুধবার বিকেলে আছড়ে পড়ার কথা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ রয়েছে তামিলনাড়ু, পুদুচেরির দিকে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ওপর তার প্রভাব বড় একটা পড়বে না। তবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ অনেক ক্ষেত্রে বদলেও যায়।
এই ঘূর্ণিঝড় নিভার-এর দিকে কড়া নজর রাখছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। ঝড়টি এখন যে অবস্থায় রয়েছে তাতে তা যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তখন ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ফলে তা যে তাণ্ডব করবে তা পরিস্কার।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজের জন্য পুরোপুরি তৈরি থাকছে তারা।
হতাহতের ঘটনা যতটা সম্ভব কমানো যায় তার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ২ রাজ্যকে নিভার-এর মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুদুচেরিতে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকেই সব দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। কেবল দুধের বুথ, হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানে ছাড় রয়েছে।
হাওয়া অফিস মনে করছে নিভার বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ করাইকাল ও মামাল্লাপুরম-এর মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে এখনও দেরি থাকলেও ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। মানুষজন এখন থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়িতে সংগ্রহ করে নেওয়ার তোড়জোড় করছেন।
অনেকেই আর বুধবার বাড়ি থেকে বার হওয়ার ঝুঁকি নেবেন না। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির উপকূল জুড়ে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা