মুখ্যমন্ত্রীকে ভালবেসে নিজের চতুর্থ আঙুলটাও কেটে ফেললেন আলিবাবা
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন তিনি। নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেই তিনি কেটে ফেলেন নিজের হাতের আঙুল। এটাই আলিবাবার পুরনো অভ্যাস।
পাটনা : বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ভক্তের সংখ্যা বিহারে কম নয়। তবে আলিবাবা তাঁদের সকলকে অনেকটাই ছাপিয়ে গেছেন। এখন তাঁর নাম কার্যত মুখে মুখে ঘুরছে। আলিবাবা অবশ্য তাঁর ডাক নাম। আসল নাম অনিল শর্মা।
বিহারের জেহানাবাদ জেলার ভাইনা গ্রামের বাসিন্দা আলিবাবা। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তিনি এতটাই ভালবাসেন যে নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেই তিনি উপাসনা করেন। তবে সে উপাসনা সকলকে চমকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৪৫ বছর বয়সী আলিবাবা ২০০৫ সালে নীতীশ কুমার যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে প্রথমবার বসেন তখন সেই আনন্দে নিজের বাঁ হাতের একটি আঙুল কেটে ফেলেন। তারপর সেই আঙুলটি উৎসর্গ করেন গোরাইয়া বাবা-র বিগ্রহের সামনে।
পুজো করেন নিজের আঙুল দিয়ে। নীতীশ কুমারের জন্য পুজো করেন আলিবাবা। সেটা ছিল প্রথমবার। ২০১০ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ কুমার। এবার তাঁর বাঁ হাতের দ্বিতীয় একটি আঙুলও কেটে ফেলেন আলিবাবা।
এরপর ২০১৫ সালেও তৃতীয় আঙুলটি কেটে গোরাইয়া বাবার চরণে উৎসর্গ করেন। এ বছর চতুর্থ বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ কুমার। আলিবাবাও তাঁর কাজ করেন। গত সপ্তাহে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের পরই আলিবাবা নিজের বাঁ হাতের চতুর্থ আঙুলটি কেটে ফেলেন।
আলিবাবা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি জানেন তাঁর সঙ্গে নীতীশ কুমার কোনওদিন হয়তো দেখা করতে আসবেন না। কিন্তু নীতীশের প্রতি তাঁর ভালবাসা কখনও কম হবে না।
আলিবাবা নিজে তাঁর এই কাজের জন্য বেজায় খুশি। কিন্তু পুলিশের দাবি তারা এটা প্রথমবার শুনছে। তাও তারা শুনেছে সাংবাদিকদের কাছ থেকে। তারপরই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নিজেকে আঘাত করাও আইনের চোখে অপরাধ। পুলিশ অবশ্য এখনই আলিবাবার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে তাঁর প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অনিল শর্মা ওরফে আলিবাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা