দেশে একদিন কমছে তো পরদিন বাড়ছে সংক্রমণ
সংক্রমণের একটা নিম্নমুখী ধারা বজায় ছিল নভেম্বরে। তবে এখন তা বড় ওঠানামা করছে। এদিন যেমন বাড়ল সংক্রমণ।
নয়াদিল্লি : অক্টোবরের পর নভেম্বরেও দেশে সংক্রমণ কমার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। কম বেশি হতে থাকলেও তা নিচের দিকে নামছিল। কিছুটা ওঠানামা করছিল সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।
অক্টোবরে দেশে সংক্রমণ ছিল নিম্নমুখী। যা অবশ্যই আশার আলো দেখিয়েছে। নভেম্বরেও সেই ধারা বজায় ছিল মাঝামাঝি পর্যন্ত। কিন্তু গত কয়েকদিনে সংক্রমণের ওঠানামা বেড়েছে।
গত একদিনে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা বেড়ে দেশে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৩৭৬ জন। গত একদিনে দেশে ১১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা অনেকটা বেড়েছে।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে ৯২ লক্ষ ২২ হাজার ২১৬ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা একটু বেড়েছে। দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৪৬ জনে। একদিনে বেড়েছে ৬ হাজার ৭৯ জন।
অক্টোবরে দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৩ অঙ্কের ঘরেই অধিকাংশ সময় থেকেছে। অক্টোবরের শেষে ৫০০-র ঘরেই ছিল দৈনিক মৃত্যু। নভেম্বরে এই সংখ্যাটা কখনও ৪০০ তো কখনও ৫০০-র ঘরেই অধিকাংশ সময় ঘোরাফেরা করেছে।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮১ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯৯ জন। ১.৪৬ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনেও সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে কম হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৭ হাজার ৮১৬ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৮৬ লক্ষ ৪২ হাজার ৭৭১ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা