আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধের সময়সীমা আরও বাড়ল
ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গত ২৫ মার্চ। তারপর থেকে এখনও তা চালু হয়নি। আরও বাড়ল সেই মেয়াদ।
নয়াদিল্লি : ভারতে নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা গত ২৫ মে থেকে শুরু হলেও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে ছাড় দেয়নি সরকার। অবশ্যই করোনা সংক্রমণের চিন্তাই এর কারণ।
নভেম্বরের শেষে পৌঁছেও সেই নিষেধাজ্ঞা তুলছে না ডিজিসিএ। বরং সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমানের নিয়মিত ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ফলে চলতি বছরে আর স্বাভাবিক নিয়মে বিদেশে যাতায়াত করা যাবে না।
এখন বিদেশে যে একেবারেই যাওয়া যাচ্ছেনা বা বিদেশ থেকে ফেরা যাচ্ছেনা এমনটা নয়। বিশেষ কিছু ছাড় ডিজিসিএ দিয়েছে। তবে সেই বিমান আসা বা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে ডিজিসিএ-র ওপর। যদি তারা মনে করে বিমানটি বিদেশ থেকে আসতে পারে বা এ দেশ থেকে যেতে পারে তবেই তা সম্ভব হবে।
এছাড়া ভারত সরকার এই করোনা পরিস্থিতিতে ‘এয়ার বাবল’ বলে একটি চুক্তি বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে করেছে। যে চুক্তি অনুযায়ী তারা এ দেশে বা ভারত তাদের দেশে বিমান ওঠানামা করাতে পারবে।
এদিনের সিদ্ধান্তের পর ২০২০ সালে আর না ভারত থেকে কোনও বিমান নিয়মিত শিডিউল মেনে বিদেশে যাবে, না কোনও বিদেশি বিমান একইভাবে ভারতে নামবে। এটা এদিন স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র।
তবে কার্গো বিমানে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকলেও এরফলে মালপত্র আদান প্রদান অন্য দেশের সঙ্গে বন্ধ থাকছে না। তা চালুই থাকছে।
গত ২৫ মার্চ থেকে দেশে লকডাউউন ঘোষণা হয়। সেদিন থেকেই দেশে যাবতীয় আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দেশের মধ্যেও বিমান ওঠানামা।
তবে দেশের মধ্যে বিমান ওঠানামা অনেকটাই এখন স্বাভাবিক। গত ২৫ মে থেকে তা ক্রমশ স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ শুরু হয়। যা এখন সচল অবস্থায় পৌঁছে গেছে। যদিও সবই হচ্ছে করোনা বিধি মেনে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা