দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি সাক্ষরিত হল। যারমধ্যে অসামরিক পরমাণু চুক্তি ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে। ৭ বছর পর গত শুক্রবার ৪ দিনের ভারত সফরে দিল্লিতে পা রাখেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও হয় তাঁর। এরপরই দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এদিকে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ভারত ক্রেডিট লিমিট বাড়িয়ে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার করেছে বলে এদিন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন দিল্লিতে বসেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে কলকাতা-খুলনা প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা চালু করেন। তবে এটা আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে হল। জুলাই থেকে নিয়মিত যাতায়াত করবে ট্রেন। এদিন বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্ত পার করে ভারতের পেট্রাপোলে ফুলে সাজানো ট্রেনটি প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে উলু ও শঙ্খধ্বনিতে ট্রেনটিকে স্বাগত জানানো হয়। লাইনের দু’পাশে ভিড় জমান অগণিত মানুষ। এদিকে এদিন পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত একটি বাস পরিষেবাও চালু হয়। দিল্লি থেকেই হাসিনা ও মোদী একযোগে এটি চালু করেন। নবান্ন থেকে বাসটি রওনা দেয় খুলনার দিকে। ৪০৯ কিলোমিটারের এই পথ পার করতে বাসটির সময় লাগবে ১২ ঘণ্টা। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই প্রতিবেশি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার কথা বলেন। ১৯৭১-র মুক্তিযুদ্ধ থেকেই ভারতের সাহায্যের জন্য ভারতবাসীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
(প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – নরেন্দ্র মোদী)