সকলকে টিকা দেওয়া হবে কখনও বলা হয়নি, বলল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়া হবে একথা কখনও বলা হয়নি। সরকার সকলকে টিকাকরণের কথা বলেনি। মঙ্গলবার একথা স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় সরকার টিকাকরণের জন্য রূপরেখা তৈরি করছে। একথা গত ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, আগামী অগাস্ট মাসের মধ্যে দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে সরকার।
১৩০ কোটির ওপর মানুষের তাহলে কবে সকলকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে? এমন প্রশ্ন নানা মহল থেকে উঠছিল। আবার টিকা সকলে নিতেও দোনোমনা করছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দেশবাসীর কাছে একটা পরিস্কার কথা জানিয়ে রাখল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, টিকা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিছু মানুষ মনে করছেন তাঁদের টিকা নেওয়ারই দরকার নেই। টিকা সুরক্ষিত এবং তা কার্যকরী একথা রাজ্যসরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকেই বোঝাতে হবে সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে আইসিএমআর এর ডিজি বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, সরকারের লক্ষ্য করোনা চেনকে ভেঙে দেওয়া।
ভার্গব বলেন, যাঁদের ঝুঁকি অনেক বেশি তেমন মানুষদের টিকাকরণ করে চেনটা ভাঙার চেষ্টা করবে সরকার। ঝুঁকি যাঁদের বেশি তাঁদের টিকাকরণ করে যদি করোনা চেনকে ভেঙে দেওয়া যায়, তাহলে বাকি মানুষকে টিকা দেওয়ার কোনও প্রয়োজনই থাকবে না।
ভার্গব অবশ্য মেনে নিয়েছেন, টিকার কার্যকারিতা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। এমনও হবে যে এই টিকা দেওয়া হলেও কারও দেহে তা ৬০ শতাংশ কার্যকরী হবে। কারও দেহে আবার ৭০ শতাংশ কার্যকরী হবে।
কিছু মানুষের মধ্যে যে টিকা নেওয়া নিয়ে এখন একটা ভীতি তৈরি হয়েছে তা মেনে নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ এই ভয় কাটাতে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান।
মানুষকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকেই বোঝাতে হবে টিকার কার্যকারিতা বলে জানান রাজেশ ভূষণ। অনেকে ভুল তথ্যের শিকার হচ্ছেন বলেও দাবি করেন ভূষণ।
তাঁর পরামর্শ যাঁরা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে টিকা নেওয়া নিয়ে ভয়ে রয়েছেন তাঁদের সঠিকটা বুঝিয়ে মন থেকে ভয় দূর করার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকেই।
টিকাকরণ নিয়ে সরকার একটি বিস্তারিত গাইডলাইন আনতে চলেছে বলেও জানান ভূষণ। যা আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই সামনে আসবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা