প্রেশারকুকারের সাহায্যে করোনাজয়ীদের সমস্যা মেটাচ্ছেন প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী
লাগছে একটা প্রেশারকুকার। একটা নল। আর কিছু প্রয়োজনীয় মশলাপাতি। ব্যস, এতেই করোনাজয়ীদের সমস্যা মেটাচ্ছেন এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মী।
জয়পুর : পেশায় ছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী। এখন অবসর জীবন। কিন্তু অবসর জীবনটা তাঁর কর্মজীবনের চেয়েও অনেক বেশি কর্মময় হয়ে উঠেছে। খুলেছেন এক নেচারোপ্যাথি ক্লিনিক। আর সেই ক্লিনিকে এখন নিত্যদিন মানুষের ভিড় লেগে থাকে।
অধিকাংশই আসছেন করোনা সেরে যাওয়ার পর। যাতে দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। ৬৫ বছরের পোখরাজ ভোরা তাঁদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। তারপর শুরু করছেন তাঁর মত করে চিকিৎসা।
লাগার মধ্যে লাগছে একটা প্রেশারকুকার। সেই প্রেশারকুকার থেকে একটা নল বেরিয়ে এসেছে। সেই নল পৌঁছে গাছে লাগোয়া বাথরুমে। সেখানেই হচ্ছে চিকিৎসা।
প্রেশারকুকারে থাকছে আদা, চিরতা, কুটকি, জোয়ান, পাতিলেবুর রস আর নিম পাতা। এগুলি একটি পরিমাণমত আঁচে ফুটছে। আর তা থেকে যে ধোঁয়া উৎপন্ন হচ্ছে তা নল বেয়ে পৌঁছে যাচ্ছে করোনা থেকে সেরে ওঠা ওই মানুষের কাছে, যিনি তখন বাথরুমে বসে আছেন।
সেখানেই তাঁকে ওই ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিতে হচ্ছে। বেশিক্ষণ নয়। আধঘণ্টা নিতে হচ্ছে ওই ধোঁয়া। তাতেই নাকি তাঁদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা তাঁদের দ্রুত সুস্থ করে তুলছে। করোনা পরবর্তী সমস্যা থেকে মুক্তি দিচ্ছে।
এখানে কেউ সুস্থতার জন্য এলেই তাঁকে প্রথমে দেওয়া হয় আমলকির রস ও বিভিন্ন পাতা দিয়ে তৈরি একটি একটি সরবত। যা তাঁদের শরীরের জন্য উপকারি।
পোখরাজ ভোরার দাবি, করোনার সময় যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাতে শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় অঙ্গ দুর্বল হচ্ছে। সেগুলিকে চাঙ্গা করে তোলার চেষ্টা হয় এই নেচারোপ্যাথি সেন্টারে। এমনকি করোনার জন্য কেউ যদি মানসিক অবসাদের কবলে পড়েন তাঁদেরও রেমেডি দিচ্ছেন ভোরা।
পোখরাজ ভোরা তাঁর কাছে আসা রোগীদের দ্রুত সুস্থ করতে প্রেশারকুকারে তৈরি বিশেষ ধোঁয়া ছাড়াও কালো মাটি ও পাতিলেবুর রসের মিশ্রণ সারা গায়ে মাখার পরামর্শ দেন।
এটা মেখে কিছুক্ষণ রেখে স্নান করে নেওয়া। তাতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক হয়ে শরীর আরও দ্রুত সুস্থ হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের সীমান্তে রতলাম জেলার রয়েছে পোখরাজ ভোরার এই নেচারোপ্যাথি সেন্টার। সেখানে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখন প্রতিদিন ছুটে আসছেন সুস্থ হতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা