কনের করোনা, তবু বিয়ে হল অভিনব উপায়ে
কনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে ঠিক যেদিন তাঁর বিয়ে। ফলে বিয়েবাড়ি জুড়ে মুছে যায় সব আনন্দ। যদিও সব কিছুর পর বিয়ে আটকে রইল না।
জয়পুর : বিয়ের সব প্রস্তুতি হয়ে গেছে। এখন শুধু বর আসাটা বাকি। বিয়েটা বাকি। কনের পরিবারে একেবারে হৈহৈ আয়োজন। কনেও তৈরি নববধূর সাজে সেজে উঠতে। আর ঠিক সেই সময়ই আসে খবরটা।
কনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে। যা দেখে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে কনের পরিবারের। বিয়ের দিনের স্বপ্নে বিভোর কনেও ভেঙে পড়েন। তাহলে কী বিয়ে তাঁর হবে না!
এ খবর পাত্রের বাড়িতেও পৌঁছয়। তবে কী বিয়ে আপাতত স্থগিত? ২ পরিবার কিন্তু স্থগিতের রাস্তায় না হেঁটে বিকল্প পথের সন্ধান করতে থাকে। কিন্তু বিয়ে হবে কীভাবে? সরকারি কোভিড প্রোটোকলেই তো আটকে যাবে।
তবু কোনও রাস্তা তো আছে। ২ পরিবারের তরফে হাল না ছেড়ে কথা শুরু হয় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে। তাতে রাস্তাও বার হয়। হয়তো ভারতে এই প্রথম এমন বিয়ে হল কারও।
স্থির হয় বিয়ে হবে। তবে কোভিড প্রোটোকলও মানা হবে। আর কনে যখন করোনা পজিটিভ তাই তাঁর বাড়িতেও বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়। তাই সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না এমন এক উপায় বার হয়।
স্থানীয় একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারে তৈরি হয় বিয়ের মণ্ডপ। সেখানে কোনও অতিথিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বর, কনে আর পুরোহিত মশাইকে কেবল ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁদের পরিয়ে দেওয়া হয় পিপিই কিট।
না কোনও বিয়ের জমকালো পোশাক নয়। বর ও কনে পরে ফেলেন আকাশি রংয়ের পিপিই। আর পুরোহিত মশাই পরেন সাদা রংয়ের পিপিই। তারপর শুরু হয় বিয়ে।
পিপিই পরেই বিয়ের যাবতীয় নিয়ম সম্পূর্ণ করা হয়। পুরোহিত পিপিই কিট পরেই যা যা করানোর করান। এই পুরো বিয়েতে প্রোটোকলে কোনও ভুলভ্রান্তি যাতে না হয় সেদিকে কঠোর নজর রাখতে হাজির ছিলেন পিপিই পরেই কয়েকজন আধিকারিক। তবে বিয়ে সম্পূর্ণ হয় নিশ্চিন্তে।
এই অভিনব বিয়ের আসর বসে রাজস্থানের শাহবাদ এলাকার একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারে। এদিকে এই বিয়ের ছবি ভাইরাল হতে নেটিজেনরা কিন্তু কটাক্ষ শুরু করে দেন। এত তাড়া কিসের তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা