দেশে আগের দিনের তুলনায় ২১ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ
দেশে আগের দিন ২৬ হাজারের ঘরে দৈনিক সংক্রমণ নামে। যা ৫ মাসে সর্বনিম্ন ছিল। গত দিনের তুলনায় একদিনে ২১ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ।
নয়াদিল্লি : নভেম্বর জুড়ে সংক্রমণের ওঠানামা দেখেছেন দেশবাসী। ৪০ হাজার বা ৩০ হাজারি ঘরেই ওঠানামা চলেছে। ডিসেম্বরে পড়ে টানা ৩০ হাজারি ঘর ধরে রেখেছে সংক্রমণ।
আগের দিন দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ২৬ হাজার ৫৬৭ জন। একদিনে তা ২১ শতাংশ বেড়ে হল ৩২ হাজার ৮০ জন। গত একদিনে দেশে ১০ লক্ষ ২২ হাজার ৭১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে সামান্য কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে ৯৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৫০ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯০৯ জনে। একদিনে কমেছে ৪ হাজার ৯৫৭ জন।
নভেম্বরে দেশে দৈনিক মৃত্যু কখনও ৪০০ তো কখনও ৫০০-র ঘরেই অধিকাংশ সময় ঘোরাফেরা করেছে। ডিসেম্বর পড়েও সাধারণভাবে সেই একই অবস্থায় রয়ে গেছে দেশের দৈনিক মৃত্যু।
গত একদিনে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪০২ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৬০ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের, দিল্লিতে ৫৭। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। প্রথম স্থানে রয়েছে দিল্লি।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৬ হাজার ৬৩৫ জন। যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৯২ লক্ষ ১৫ হাজার ৫৮১ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৪ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা