শ্রীনগরে এদিন ছিল লোকসভার উপনির্বাচন। সকাল থেকেই বুথে বুথে নিরাপত্তারক্ষী থেকে নির্বাচনকর্মী থাকলেও ভোটার ছিল না। পাশাপাশি নির্বাচন ঘিরে এদিন নতুন করে উত্তাপের পারদ চড়ে উপত্যকায়। নিরাপত্তারক্ষী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে লড়াই এদিন চরমে ঠেকে। ভাঙচুর থেকে আগুন লাগানো, কিছুই বাদ যায়নি। সঙ্গে ছিল চেনা ছকে নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর বর্ষণ। ব্যবহার হয় পেট্রোল বোমারও। গান্ডেরবলের একটি বুথই পেট্রোল বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বুথে বুথে চলে হামলা। আতঙ্কে বুথমুখো হননি শ্রীনগরের আমজনতা। এটাই ছিল উদ্দেশ্য। আর তাতেই চরমভাবে সফল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বুথে বুথে ঢুকে ইভিএম ভাঙচুরও করে তারা। সকালে বুথে থাকলেও, হামলাকারীদের তাণ্ডবে প্রাণ বাঁচাতে অনেক বুথ ছেড়ে নির্বাচনকর্মীরা পালিয়ে যান। অবস্থা এতটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছয় যে হামলাকারীদের ঠেকাতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে বাধ্য হন তাঁরা। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের হামলায় শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তাণ্ডবে শ্রীনগরে এদিন ভোট প্রায় পড়েনি বললেই ভাল। কম ভোটের রেকর্ড গড়েছে এই লোকসভা কেন্দ্র। সারাদিনে সব মিলিয়ে ভোটের সংখ্যা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সবদিক খতিয়ে দেখে এই কেন্দ্র পুনর্নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।