বিয়ের ১০ দিনের মাথায় বরের মৃত্যু, গ্রামে বসল ক্যাম্প
বিয়ে হয়েছে মাত্র ১০ দিন হল। কিন্তু নতুন জীবনে প্রবেশ করার আগেই সব স্বপ্ন গেল মুছে। মৃত্যু হল বরের। যার আবার এক অন্য পরিণতি সামনে এল।
ফিরোজাবাদ (উত্তরপ্রদেশ) : বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয়েছিল। নতুন জীবনের স্বপ্ন লেগেছিল ২ যুবা প্রাণের চোখে। ২ পরিবারও বিয়েতে কোনও কিছুর অভাব রাখেনি। হৈচৈ করে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরই শরীরটা খারাপ হতে শুরু করে সদ্য বিবাহিত ওই যুবকের।
ক্রমশ অসুস্থতা বাড়তে থাকে। জ্বরও বাড়তে থাকে। তবে সাধারণ জ্বর ভেবে যুবক তো বটেই তাঁর পরিবারও গুরুত্ব দিতে চায়নি। এদিকে জ্বর ছাড়াও শরীরে নানা সমস্যা তৈরি হয়। তারপর যখন তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে পরিবার ঠিক তখনই তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই যুবকের এমন কয়েকদিনের জ্বরে মৃত্যু তাঁর পরিবার তো বটেই, শোকস্তব্ধ করে দেয় তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ও তাঁর পরিবারকে। যে ২টি পরিবার ১০ দিন আগেও আনন্দে আত্মহারা ছিল, সেই ২টি পরিবার মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে শোকের আবহে ডুবে যায়। কান্নার রোল থামতেই চায়না। এদিকে যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী সহ মা, ভাই এবং আরও ৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এবার আর দেরি করেননি কেউ। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়। চিকিৎসক সবকিছু দেখে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দেন।
করোনা পরীক্ষা হয় তাঁদের। আর তা করতেই জানা যায় মৃত যুবকের স্ত্রী, মা, ভাই সহ পরিবারের মোট ৯ জনের করোনা পজিটিভ। একটা বাড়ির ৯ জন করোনা পজিটিভ, এই খবর পৌঁছয় সরকারের কাছেও। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীয় প্রশাসন।
ওই যুবকের মৃত্যু করোনাতেই হয়েছে কিনা তা জোর দিয়ে বলা মুশকিল বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। কারণ তাঁর কোনও পরীক্ষা হয়নি।
কিন্তু ওই পরিবারের ৯ জনই করোনা পজিটিভ হওয়ার পর ওই বাড়িকে কোয়ারেন্টিন করার পাশাপাশি গ্রাম জুড়েই সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। গ্রামে দ্রুত করোনা পরীক্ষার ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
সেখানে গ্রামের প্রতিটি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের নাগলা সাওয়ান্তি গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা