National

রামায়ণের গাছ লাগানোর বন্দোবস্ত হল রাম মন্দিরে

রামায়ণ মহাকাব্যে বেশ কিছু গাছের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই গাছগুলি শোভা পাবে রাম মন্দিরের চত্বরে। সেসব গাছের চারা খোঁজার কাজ শুরু হল।

অযোধ্যা : রাম মন্দিরের শিলান্যাস হয়ে গেছে। এখন শুরু হয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ। মন্দির ও মন্দির চত্বর ঘিরে রয়েছে নানা পরিকল্পনা। যা মডেল করে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরাও হয়েছে।

এবার শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রামায়ণে উল্লিখিত গাছগুলির চারা খোঁজা শুরু করে দিল। রামায়ণে ৮৯ রকম গাছের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই প্রতিটি গাছই রাম মন্দির চত্বরের মাঠে দেখা যাবে বলে জানানো হয়েছে।


রামায়ণে যে গাছগুলির উল্লেখ পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে পারিজাত, সীতা অশোক, বট, অশ্বত্থ, নাগকেশর, রক্তচন্দন, দেওধর, চন্দন, অশোক, লোধ, আম, শাল। এমনই ৮৯টি গাছের তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।

উত্তরপ্রদেশের বন দফতরের এই গাছের চারা খোঁজার দায়িত্ব পড়েছে। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে তালিকায় এমন অনেক গাছ রয়েছে যার চারা পাওয়া সহজ নয়।


উত্তরপ্রদেশে সেসব চারা পাওয়া যাবে না। সেগুলি অন্যান্য রাজ্য থেকে খুঁজে আনতে হবে। এমন গাছও রয়েছে যা নিয়মিত রোপণও হয়না। ফলে তা জঙ্গলে পাওয়া রীতিমত কঠিন কাজ।

ত্রেতা যুগের সেসব গাছ খুঁজতে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বন দফতর। এগুলির মধ্যে কিছু রয়েছে বৃক্ষ। কিছু রয়েছে লতাগুল্ম। সেগুলি খুঁজে বার করে সবকটি রাম মন্দির চত্বরে রোপণের বন্দোবস্ত করা এখন চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এদিকে এরমধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দিরের জন্য দেশজুড়ে অর্থ সংগ্রহে নামতে চলেছে।

আগামী ১৫ জানুয়ারি মকরসংক্রান্তির দিন থেকে শুরু করে টানা ৪০ ধরে চলবে এই অর্থ সংগ্রহের কাজ। দেশের ৪ লক্ষ গ্রামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা কুপন নিয়ে পৌঁছে যাবেন। ১০, ১০০ ও ১০০০ টাকার কুপন থাকবে তাঁদের কাছে। যে যাঁর সাধ্যমত অর্থ প্রদান করতে পারবেন। প্রসঙ্গত এর আগেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ১০০০, ২০০০ এবং ৩০০০ টাকার কুপন ইস্যু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button