নিজেদের শেষ করলেন স্বামী, স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিক
স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে প্রেম করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। একথা শুনে আত্মঘাতী হন স্বামী। সেকথা শুনে আবার নিজেদের শেষ করলেন স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক।
বিশাখাপত্তনম : পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান তিনি। আন্দামানে গিয়েছিলেন কাজ করতে। সেখানেই গত ৫ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। আন্দামানে থাকতেই গত সপ্তাহের শনিবার পাপারাও জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। বিশাখাপত্তনমের বোনানগি গ্রামের বাসিন্দা পাপারাও জানতে পারেন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মোতুরি নাগিনী।
এই খবর শোনার পর বাড়ি থেকে বহু দূরে আন্দামানে বসে পাপারাও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। গত সোমবার পাপারাও আন্দামানে যেখানে থাকতেন সেখানে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই খবর পৌঁছয় তাঁর গ্রামে।
স্বামী যে নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন সে খবর কানে যায় পাপারাওয়ের স্ত্রী ২৪ বছরের নাগিনীর। তিনি তখন তাঁর ভালবাসার পাত্র ২৮ বছর বয়সী বি অবিনাশের সঙ্গে কার্যত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গত বুধবার রাতে নাগিনী ও অবিনাশ উদভ্রান্তের মত এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে স্থানীয় পুলিশের কাছে খবর আসে।
এক সাব-ইন্সপেক্টর পদাধিকারী সেখানে হাজির হন। তারপর ২ জনকে রাস্তা থেকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসেন। সেখানে ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন যে নাগিনী ও অবিনাশের মধ্যে একটা আত্মহত্যার প্রবণতা কাজ করছে।
এই অবস্থায় ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁদের বোঝাতে কার্যত রাতটা দিয়ে দেন। যাতে অবিনাশ ও নাগিনী কোনও ভুল পদক্ষেপ না করে ফেলেন সে চেষ্টা করেন রমেশ নামে ওই পুলিশ আধিকারিক।
বোঝানোর পরও কিন্তু ওই পুলিশ আধিকারিক স্বস্তি বোধ করেননি নাগিনী ও অবিনাশকে ছেড়ে দিতে। তাই নাগিনী ও অবিনাশের পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠান তিনি। তারপর তাঁদের হাতে ২ জনকে তুলে দেন।
পরিবারের সঙ্গে ফিরলেও বৃহস্পতিবার সকালে ফের তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে কাছের কাসিমকোটা গ্রামের একটি দুর্গা মন্দিরে মালাবদল করেন।
সেখান থেকে তাঁরা দুর্গানগরে আসেন। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নেন। সেই ঘর থেকে গত শুক্রবার সকালে তাঁদের ২ জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
মৃত্যুর আগে তাঁরা একটি সুইসাইড নোট লিখে যান। সেখানে তাঁরা লেখেন যে তাঁরা মনে করেননা তাঁরা কোনও ভুল করেছেন। কিন্তু এভাবে বিয়ে করে তাঁরা একসঙ্গে থাকতেও পারবেননা। তাই তাঁরা মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা