হারাতে বসা লাল ভাত বাঁচাতে শুরু মরিয়া উদ্যোগ
হারাতে বসেছে লাল ভাত। এভাবে চললে তার আর অস্তিত্বই থাকবে না। অথচ খাদ্যগুণে এর জুড়ি নেই। তাই এবার লাল ভাত রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ শুরু হল।
সিমলা : ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে লাল ভাত। যা কার্যত এক ধরনের লাল রঙয়ের চাল থেকে তৈরি হয়। চালের রঙ লাল হওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই ভাত তৈরি হলে তার রঙও লাল হয়। এই লাল ভাত শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। আর করোনা পরিস্থিতিতে এখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছেন সকলেই। সেই ধরনের খাবারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই লাল চালের ভাত সন্তানসম্ভবা মহিলাদের জন্যও দারুণ উপকারি। লাল চালের এত গুণ থাকলেও তা চাষ করায় উৎসাহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। এই চাল চাষ করে তাঁরা অতটা মুনাফা করতে পারছেন না, যতটা অন্য কোনও অর্থকরী শস্য চাষে তাঁরা করতে পারছেন। ফলে লাল চাল চাষে অনীহা বাড়ছে হিমাচল প্রদেশে। যার জেরে হারাতে বসেছে লাল চাল।
এই প্রবণতা নজরে আসে আগেই। এবার লাল চালের চাষ বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করল হিমাচল প্রদেশের সরকার। এখন ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে এই লাল চালের চাষ হচ্ছে হিমাচলে। যমুনা নদীর শাখা নদী পাব্বার-এর ধারের জমিতে এই চালের চাষ ভাল হয়।
৪ হাজার ১২২টি পরিবার এই লাল চালের চাষ এখনও করছে। তা থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার কুইন্টাল লাল চাল উৎপাদিত হচ্ছে। এবার সেই উৎপাদন আরও বাড়াতে চাইছে হিমাচল প্রদেশ সরকার।
হিমাচলের সরকার তাই আরও ৩ হাজার হেক্টর জমিতে এই লাল চালের চাষ শুরু করতে চলেছে। প্রতি হেক্টরে ৮ থেকে ১০ কুইন্টাল লাল চাল উৎপাদিত হয়। ফলে ৩ হাজার হেক্টর জমি থেকে আরও ৩০ হাজার কুইন্টাল লাল চাল পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য রয়েছে পরে আরও ১ হাজার হেক্টর জমি এই চাষে যুক্ত করার।
লাল চালের গুণ যেমন বাজার চলতি সাদা চালের চেয়ে অনেক বেশি, তেমনই এর দামও অনেক বেশি। ১ কেজি লাল চালের দাম পড়ে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। তুলনায় সাদা চালের দাম অনেক কম।
চালের অবশ্য নানা রঙ পাওয়া যায় এখন বাজারে। বাদামি চালের চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে। যা ব্রাউন রাইস নামে বেশি মানুষ চেনেন। খাদ্য গুণের কারণে কালো চাল বা ব্ল্যাক রাইস-এর চাহিদাও রয়েছে বাজারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা