National

২ জুলাইয়ের পর ফের একদিনে ২০ হাজারের নিচে সংক্রমণ

গত শনিবারই সংক্রমণে ১ কোটি পার করে গেছে ভারত। কিন্তু ভারতে এখন সংক্রমণ নিম্নমুখী। ২ জুলাইয়ের পর ফের এদিন ২০ হাজারের নিচে নামল একদিনের সংক্রমণ।

নয়াদিল্লি : নভেম্বর জুড়ে সংক্রমণের ওঠানামা দেখেছেন দেশবাসী। ৪০ হাজার বা ৩০ হাজারি ঘরেই ওঠানামা চলেছে। ডিসেম্বরের পড়ে টানা ৩০ হাজারি ঘর ধরে রেখেছিল সংক্রমণ। গত কদিনে ২০ হাজারি ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিল সংক্রমণ। এদিন তা ২০ হাজারের নিচে নামল।

গত ২ জুলাইয়ের পর এত নিচে একদিনে সংক্রমণ নামেনি। এদিন দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫৬ জন। গত একদিনে দেশে ১০ লক্ষ ৭২ হাজার ২২৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা।


রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ১ কোটি পার করেছে ভারত। ১ কোটি ৭৫ হাজার ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা।

এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে ২ লক্ষের ঘরে নেমেছে। দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৯২ হাজার ৫১৮ জনে।


একদিনে কমেছে ১১ হাজার ১২১ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার ২ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। হার দাঁড়িয়েছে ২.৯০ শতাংশ।

নভেম্বরে দেশে দৈনিক মৃত্যু কখনও ৪০০ তো কখনও ৫০০-র ঘরেই অধিকাংশ সময় ঘোরাফেরা করেছে। ডিসেম্বর পড়েও সাধারণভাবে সেই একই অবস্থায় রয়ে গেছে দেশে দৈনিক মৃত্যু। তবে গত কদিনে ৩০০-র ঘরে নেমে এসেছে দৈনিক মৃত্যু।

গত একদিনে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩০১ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ১১১ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।

এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের। কেরালা ও দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের।

করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩০ হাজার ৩৭৬ জন। যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৯৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৭ জনে। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৫.৬৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button