National

২০ হাজারের নিচে নেমেও ফের বাড়ল সংক্রমণ

গত ২ জুলাইয়ের পর ফের গত মঙ্গলবার ২০ হাজারের নিচে নেমেছিল ভারতে একদিনে সংক্রমণ। কিন্তু তা বজায় রইল না। ফের এদিন তা বেড়ে গেল।

নয়াদিল্লি : নভেম্বর জুড়ে সংক্রমণের ওঠানামা দেখেছেন দেশবাসী। ৪০ হাজার বা ৩০ হাজারি ঘরেই ওঠানামা চলেছে। ডিসেম্বরে পড়ে টানা ৩০ হাজারি ঘর ধরে রেখেছিল সংক্রমণ। গত কদিনে ২০ হাজারি ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিল সংক্রমণ। গত মঙ্গলবার তা ২০ হাজারের নিচে নেমে যায়।

গত ২ জুলাইয়ের পর এত নিচে একদিনে সংক্রমণ নামেনি। কিন্তু বুধবারই চিত্র বদলে ফের সংক্রমণ ২০ হাজারের ওপর চলে গেল। গত একদিনে দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৫০ জন। গত একদিনে দেশে ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা।


রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ১ কোটি পার করেছে ভারত। ১ কোটি ৯৯ হাজার ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে।

যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৮৯ হাজার ২৪০ জনে। একদিনে কমেছে ৩ হাজার ২৭৮ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার ২ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। হার দাঁড়িয়েছে ২.৮৬ শতাংশ।


নভেম্বরে দেশে দৈনিক মৃত্যু কখনও ৪০০ তো কখনও ৫০০-র ঘরেই অধিকাংশ সময় ঘোরাফেরা করেছে। ডিসেম্বর পড়েও সাধারণভাবে সেই একই অবস্থায় রয়ে গেছে দেশের দৈনিক মৃত্যু। তবে গত কদিনে ৩০০-র ঘরে নেমে এসেছে দৈনিক মৃত্যু।

গত একদিনে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৩ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৪৪ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।

এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।

করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬ হাজার ৮৯৫ জন।

যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৯৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৮২ জনে। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৫.৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button