এখন চাইলেই দত্তক নেওয়া যাবে জঙ্গলের রাজাকে
এখন চাইলে যে কেউ দত্তক নিতে পারবেন জঙ্গলের রাজা বলে পরিচিত পশুটিকে। এই সুযোগ এতদিন ভারতে ছিলনা। অবশেষে সাধারণের জন্য এই সুযোগও তৈরি হল।
ইটাওয়া (উত্তরপ্রদেশ) : বন্যেরা বনে সুন্দর। তাই তারা বনেই থাকে। সবুজের মাঝে। এজন্য চিড়িয়াখানার খাঁচা নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হয়েছে অভয়ারণ্য। সেখানে বিশাল জঙ্গলে নিশ্চিন্তে থাকে পশুরা।
ইটাওয়া জঙ্গল সাফারি বিখ্যাত সেখানকার এশিয়াটিক লায়ন বা এশিয় সিংহের জন্য। এই সিংহরা এখানে সুরক্ষিতই নয়, সেইসঙ্গে এখানে এরা নিশ্চিন্তে বংশবৃদ্ধিও করতে পারছে। এই ইটাওয়া জঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ এবার এক অভূতপূর্ব অফার আনল দেশবাসীর জন্য।
এখন যে কেউ চাইলে এই জঙ্গলের কোনও সিংহকে দত্তক নিতে পারবেন। দত্তক নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কোনও ব্যবসায়িক সংস্থারও। সেক্ষেত্রে তাদের একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। মানতে হবে শর্ত।
সাফারি কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে এই ইটাওয়া সাফারি বিখ্যাত সেখানকার এশিয়াটিক লায়নের জন্য। তাই সিংহ দত্তক নেওয়ার সুযোগ তো থাকছেই, সেইসঙ্গে কেউ চাইলে লেপার্ড, ভাল্লুক বা হরিণও দত্তক নিতে পারেন।
এই দত্তক নেওয়ার প্রাথমিক সময়কাল হল ১ বছর। এই এক বছরের জন্য কোনও সিংহ দত্তক নিতে গেলে দিতে হবে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। সিংহ দত্তকের খরচ সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া ভাল্লুক দত্তকের খরচ ৬০ হাজার টাকা, লেপার্ড দত্তকের খরচ ৫৫ হাজার টাকা, হরিণ দত্তকের খরচ ৫০ হাজার টাকা। ১ বছর কেটে গেলে যিনি দত্তক নিয়েছেন তাঁর আর দত্তক অধিকার থাকবে না।
তবে এই ‘অ্যাডপ্ট অ্যান অ্যানিম্যাল’ প্রকল্পে ভাল সাড়া পেলে এই সময়কাল আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ইটাওয়া সাফারি কর্তৃপক্ষ।
যিনি দত্তক নেবেন তিনি বেশ কিছু সুবিধাও ভোগ করবেন। সাফারিতে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার ছাড়াও তাঁর নাম দত্তক গ্রহণকারী হিসাবে দেওয়া থাকবে। পাবেন দত্তকের সার্টিফিকেট। থাকবে আরও নানা সুবিধা।
বর্তমানে এই অভয়ারণ্যে ২০টি সিংহ ও ২টি সদ্যোজাত সিংহ শাবক রয়েছে। রয়েছে ৭টি লেপার্ড, ৩টি ভাল্লুক এবং ১৩৫টি হরিণ। এখন উত্তরপ্রদেশ সরকার সিংহদের জন্য বছরে ৭০ লক্ষ টাকা, লেপার্ডদের জন্য ৯ লক্ষ টাকা, ভাল্লুকদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা এবং হরিণদের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা দেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা