বলিউড সিনেমা ‘ডলি কি ডোলি’-ই কী তাহলে হাতেগরম প্রশিক্ষণের কাজটা সেরেছে? নাহলে এমন হুবহু মিল থাকে কী করে? রিল লাইফের মজার উপাদান গাজিয়াবাদের শর্মা পরিবারে কার্যত শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছে। ফুলসজ্জার পরের দিন গোটা পরিবার মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। সব হারানোর দুঃখে বুক চাপড়াচ্ছেন পরিবারের মহিলারা। ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। গাজিয়াবাদের সতপাল শর্মার কাছে ফোন আসে এক ঘটকের। পিলখুয়া এলাকার মহারাজ নামে এক ঘটক ২৮ বছরের সতপালকে পাত্রী দেখতে আসার অনুরোধ করেন। শর্মা পরিবারের ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সতপাল হাজির হন গজরাউলায়। সেখানে পূজা নামে ২৫ বছরের পাত্রীকে প্রথম দেখাতেই ভাল লেগে যায় সতপালের। লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইটের পর চট মাঙ্গনি পট বিহা-র আপ্ত বাক্যকে সত্যি করে সতপাল ও পূজা গজরাউলার একটি মন্দিরে গত ৪ এপ্রিল নেহাতই অনাড়ম্বর এক বিয়ে সারেন। পূজা জানিয়েছিল তার বাবা-মা নেই। থাকার মধ্যে আছে এক ছোট ভাই। সেই ভাই বিয়ের সময়ে হাজির ছিল। অনাড়ম্বর বিয়ের ইচ্ছা পূজাই প্রকাশ করে বলে জানিয়েছিল শর্মা পরিবার। বাপ-মা মরা মেয়ের সেই আবদার মেনেও নেন শর্মা পরিবারের সকলে। এরপর সতপাল পূজাকে নিয়ে গাজিয়াবাদে তাঁদের বাড়িতে উপস্থিত হন। সেখানে নববধূকে কেন্দ্র করে কিছু সামাজিক রীতি পালন করা হয়।
শর্মা পরিবারের দাবি ফুলসজ্জার দিন কনেকে রান্নাঘরে যেতে নেই। বাড়ির বড়রা মানাও করেন। কিন্তু সে নিজে রেঁধে খাওয়াবে বলে জিদ ধরে পূজা। অগত্যা তাও মেনে নেয় শর্মা পরিবার। কিন্তু যে খাবার সে বানিয়েছিল তা বড্ড তেতো ছিল বলে দাবি করেন সতপালের ভাই। তাঁরা সে খাবার খেতে না পারলেও পূজার মন রাখতে সতপাল ও তাঁরা বাবা খাবার গলাধঃকরণ করেন। এখানেই শেষ নয়। ফুলসজ্জার রাতে স্বামীর সঙ্গে একঘরে শুতেও রাজি হয়নি পূজা। সে জিদ ধরে এদিন রাতে সে সতপালের ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে শোবে। তাতেও সকলে রাজি হয়ে যান। এরপর ভোররাতে ঘুম ভেঙে রিংকি নামে পূজার জা দেখেন ঘরে পূজা নেই। আলমারি খোলা। সব গয়না উধাও। সারা বাড়িতেও খোঁজ করে না পেয়ে সতপালকে জানানো হয় পূজা পালিয়েছে। কিন্তু খাবারে মেশানো মাদকের নেশায় তিনি তখন ঘুম থেকে উঠতেই চাননি। এদিকে পগারপার নববধূর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে সেই ঘটকেরও। গাজিয়াবাদ পুলিশ তাজ্জব হিন্দি সিনেমা ডলি কি ডোলি-র সঙ্গে বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার মিল দেখে!