শীত থেকে বাঁচতে ক্ষীর খাচ্ছে ভাল্লুক, উটপাখি খাচ্ছে ডিম
শীতের কামড় ভয়ংকর হয়ে উঠছে। তাই সেই কড়া শীতের হাত থেকে বাঁচতে এবার ক্ষীর খেতে শুরু করল ভাল্লুক। উটপাখি খাচ্ছে সিদ্ধ ডিম।

লখনউ ও কানপুর : প্রবল হাড় কাঁপানো শীতে গরম পোশাক বা লেপ কম্বল যেমন শরীরকে গরম রাখে। তেমনই রাখে খাবার। মানুষ তো খাবার এবং গরম পোশাকে শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার সব ব্যবস্থা করে নেয়। কিন্তু পশুদের ভরসা প্রধানত খাবার। এই খাবারই তাদের শরীকে গরম রাখে। আর রাখে তাদের শরীর জুড়ে থাকা লোম বা পাখির ক্ষেত্রে পালক।
তাই এবার শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভাল্লুকের খাবার মেনু গেছে বদলে। শীতে এখন তাদের প্রতিদিন জুটছে গুড় দিয়ে তৈরি ক্ষীর। এছাড়াও এক এক পশুর এক এক রকম খাবার জুটছে। যা তাদের শরীরকে গরম রেখে শীতের হাত থেকে বাঁচাচ্ছে।
এখনও শীতের কামড় কলকাতায় সেভাবে না পড়লেও উত্তর ভারত জুড়ে তার দাপট শুরু হয়েছে গত নভেম্বর থেকেই। এমনকি অক্টোবরেও অনেক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে উত্তর ভারতের ঠান্ডা।
এখন তো শৈত্য প্রবাহ চলছে উত্তর ভারত জুড়ে। এই অবস্থায় লখনউ, কানপুর সহ বেশ কিছু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের শীতের হাত থেকে বাঁচাতে তাদের মেনুই বদলে দিয়েছে।
শীত থেকে বাঁচাতে গুড় দিয়ে তৈরি বিশেষ ক্ষীর প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে ভাল্লুকদের। উটপাখিদের আবার ক্ষীর নয়, তাদের প্রতিদিনের মেনুতে যুক্ত হয়েছে সিদ্ধ ডিম।

শিম্পাঞ্জিদেরও খাবারে যুক্ত হয়েছে সিদ্ধ ডিম। হরিণদের জন্য অবশ্য অন্য বন্দোবস্ত। তাদের দেওয়া হচ্ছে ভিজে ছোলা আর বাঁধাকপি। বাঁদরদের এই শীতেও সুস্থ রাখতে দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের খাবার। যার মধ্যে বিশেষ করে রয়েছে সিদ্ধ ডিম এবং চিনাবাদাম।
পাখিদের জন্য আবার একদম অন্য মেনু। তাদের পছন্দের ফল তো রয়েছেই। জোর দেওয়া হচ্ছে মরসুমি ফলে। সেইসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে অনেক সবজি আর পাউরুটি।
শরীর গরম রাখতে নানা খাবার তো খাওয়ানো হচ্ছেই, তারসঙ্গে সকলকেই দেওয়া হচ্ছে ভিটামিন এ এবং ডি। এই কড়া শীতেও যাতে তারা সুস্থ থাকতে পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছে চিড়িয়াখানাগুলি।
প্রসঙ্গত শুধু লখনউ চিড়িয়াখানাতেই ১ হাজারের ওপর পশুপাখি রয়েছে। যারমধ্যে ৫০০-র ওপর শুরু পাখি রয়েছে সেখানে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা