গত একদিনে করোনায় মৃত্যুতে দেশে ২ নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ
ভারতে সংক্রমণ এখন নিচের দিকে নামছে। তবে প্রধানত ২০ হাজারি ঘর ধরে রেখেছে সংক্রমণ। করোনায় মৃত্যুতে গত একদিনে দেশে ২ নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরের শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর ধরে রেখেছিল সংক্রমণ। তারপর সেখান থেকে নেমে গত কদিনে ২০ হাজারি ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিল সংক্রমণ। এখনও সেই ছন্দই বজায় রয়েছে। তবে আগের দিন তার ব্যতিক্রম হয়। নতুন করে সংক্রমিত হন ১৮ হাজার ৭৩২ জন। গত ৬ মাসে একদিনে এত কম মানুষের সংক্রমণের শিকার হওয়া দেখেনি ভারত।
যদিও তা এদিন বজায় রইল না। এদিন ২০ হাজার ২১ জন সংক্রমিত হওয়ায় ফের সামান্য বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। গত একদিনে দেশে ৭ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৯৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২ লক্ষ কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ১ কোটি পার করেছে ভারত। এদিন ১ কোটি ২ লক্ষের ঘর পার করল। এখন ১ কোটি ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৭১ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা।
এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩০১ জনে। একদিনে কমেছে ১ হাজার ৩৮৯ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ২.৭২ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরু থেকে টানা ৪০০ এবং পরে ৩০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করেছে মৃত্যু। গত কদিনে ৩০০-র ঘরেই টানা ছিল দৈনিক মৃত্যু। অবশেষে তা এখন ২০০-র ঘরে নেমেছে।
গত একদিনেও ২০০-র ঘরেই রয়েছে মৃত্যু। দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৭৯ জনের। আগের দিনও একই সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯০১ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১ হাজার ১৩১ জন।
যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৯৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৬৯ জনে। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৫.৮৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা