৬ মাস পর ১৬ হাজারে নামল দেশে একদিনে সংক্রমণ
বিগত ৬ মাসে একদিনে সংক্রমণের এই অঙ্ক দেখতে পাননি দেশবাসী। অবশেষে ভারতে ৬ মাস পর ১৬ হাজারে দৈনিক সংক্রমণ নামল।
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরের শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর ধরে রেখেছিল সংক্রমণ। তারপর সেখান থেকে নেমে গত কদিনে ২০ হাজারি ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিল সংক্রমণ। এখনও সেই ছন্দই বজায় রয়েছে।
তবে গত একদিনে সংক্রমণ আরও নিচে নেমেছে। আর যেখানে পৌঁছেছে গত ৬ মাসে একদিনে এত কম সংখ্যক সংক্রমণ দেখতে পাওয়া যায়নি।
এদিন ১৬ হাজার ৪৩২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। গত একদিনে দেশে ৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৯৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২ লক্ষ বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ১ কোটি পার করেছে ভারত। এখন ১ কোটি ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৩০৩ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা।
এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৮১ জনে। একদিনে কমেছে ৮ হাজার ৭২০ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ২.৬৩ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরু থেকে টানা ৪০০ এবং পরে ৩০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করেছে মৃত্যু। গত কদিনে ৩০০-র ঘরেই টানা ছিল দৈনিক মৃত্যু। অবশেষে তা এখন ২০০-র ঘরে নেমেছে।
গত একদিনেও ২০০-র ঘরেই রয়েছে মৃত্যু। দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৫২ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৫৩ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। ছত্তিসগড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ হাজার ৯০০ জন। যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৯৮ লক্ষ ৭ হাজার ৫৬৯ জনে। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৫.৯২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা