বছর শেষে দেশে সুস্থতার হার ৯৬ শতাংশে পৌঁছল
আগের দিন যেখানে নেমেছিল সংক্রমণ সেই নিম্নমুখী ধারা বজায় রাখতে পারল না ভারত। ফের সংক্রমণ বাড়ল। অন্যদিকে সুস্থতা বেড়ে ১ কোটির দরজায় পৌঁছেছে।
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরের শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর ধরে রেখেছিল সংক্রমণ। তারপর সেখান থেকে নেমে গত কদিনে ২০ হাজারি ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিল সংক্রমণ। এখনও সেই ছন্দই বজায় রয়েছে।
মাঝে ২-১ দিন ২০ হাজারের নিচে নামে সংক্রমণ। কিন্তু সেই ছন্দ বজায় থাকেনি। বছরের শেষ দিনে ২১ হাজার ৮২২ জন নতুন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। গত একদিনে দেশে ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ২৪৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ১ কোটি পার করেছে ভারত। এখন ১ কোটি ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা।
এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬৫৬ জনে। একদিনে কমেছে ৪ হাজার ৬১৬ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ২.৫১ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরু থেকে টানা ৪০০ এবং পরে ৩০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করেছে মৃত্যু। গত কদিনে ৩০০-র ঘরেই টানা ছিল দৈনিক মৃত্যু। অবশেষে তা এখন ২০০-র ঘরে নেমেছে।
গত একদিনেও ২০০-র ঘরেই রয়েছে মৃত্যু। দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৯৯ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৩৮ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ কেরালার সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। পশ্চিমবঙ্গেও মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬ হাজার ১৩৯ জন। যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা বছর শেষে প্রায় ১ কোটির দরজায় পৌঁছে গেছে। এদিন দাঁড়িয়েছে ৯৮ লক্ষ ৬০ হাজার ২৮০ জনে। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.০৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা