সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিম্নমুখী ধারা বজায় রেখেই শুরু নতুন বছর
নতুন বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নিম্নমুখী ধারা বজায় রইল। সেইসঙ্গে ভারতে করোনা টিকা প্রদান শুরু নিয়ে আশার আলো দেখা গেল।
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরে শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর ধরে রেখেছিল সংক্রমণ। তারপর সেখান থেকে নেমে ২০ হাজারি ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিল। সেই ধারাই বজায় রইল নতুন বছরের শুরুতে।
ডিসেম্বরে ২-১ দিন ২০ হাজারের নিচেও নামে সংক্রমণ। কিন্তু সেই ছন্দ বজায় থাকেনি। বছরের প্রথম দিনে ২০ হাজার ৩৫ জন নতুন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে।
গত একদিনে দেশে ১০ লক্ষ ৬২ হাজার ৪২০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ১ কোটি পার করেছে ভারত। এখন ১ কোটি ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭০৯ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা।
এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৫৪ জনে। একদিনে কমেছে ৩ হাজার ৪০২ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ২.৪৭ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরু থেকে টানা ৪০০ এবং পরে ৩০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করেছে মৃত্যু। গত কদিনে ৩০০-র ঘরেই টানা ছিল দৈনিক মৃত্যু। অবশেষে তা এখন ২০০-র ঘরে নেমেছে।
নতুন বছরের শুরুও হল ২০০-র ঘরেই গত একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে। দেশে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৫৬ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৯৪ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ হাজার ১৮১ জন। যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা বছর শেষে প্রায় ১ কোটির দরজায় পৌঁছে গেছে। এদিন দাঁড়িয়েছে ৯৮ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৬১ জনে। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা