বটগাছের তলায় উদ্ধার প্রচুর ময়ূরের দেহ, সঙ্গে অন্য পাখিও
গ্রামের ধারে বিশাল বটবৃক্ষ। তার তলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে বেশ কয়েকটি ময়ূরের দেহ। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসন। কীভাবে মৃত্যু জানতে তদন্তের নির্দেশ।
জয়পুর : ময়ূর বড় পাখি। দেশের জাতীয় পক্ষীও। সেই সুদর্শন ময়ূরদের যদি একের পর এক মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাহলে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার কারণ রয়েছে। উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে একটি খবর। যার হাত ধরে কদিন আগেই শতাধিক কাকের দেহ মেলে মরুরাজ্য রাজস্থানের ঝালাওয়াদ জেলায়।
এবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল বেশ কয়েকটি ময়ূরকে। তাও একটি বট গাছের তলায়। ময়ূরের সঙ্গে আরও বেশ কিছু পাখির দেহ মিলেছে। এগুলি পাওয়া গিয়েছে রাজস্থানেরই নাগৌর জেলার কালওয়া গ্রামে। গ্রামের লোকজনই প্রথমে এই কাণ্ড দেখতে পান বছরের প্রথম দিনের সকালে। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
ঝালাওয়াদ জেলায় যে শতাধিক কাকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল তার কারণ জানা। বন দফতর জানায় বার্ড ফ্লু থেকেই ওই কাকগুলির মৃত্যু হয়।
দ্রুত তাই ওই এলাকার ১ কিলোমিটারের মধ্যের অংশকে জিরো মবিলিটি জোন ঘোষণা করা হয়। যাতে ওই রোগ আর ছড়াতে না পারে। সেই বার্ডফ্লুয়ের বিষয়টি মাথায় রয়েছে সকলের। কিন্তু নাগৌরে এই ময়ূরদের মৃত্যু কী বার্ড ফ্লু-এর ফল? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
প্রশ্ন থাকার কারণও রয়েছে। কারণ এখানে এমনও বেশ কয়েকটি ময়ূরকে পাওয়া গিয়েছে যারা আহত। আঘাত রয়েছে তাদের দেহে। অসুখ হলে দেহে আঘাত থাকার কথা নয়। সেই ময়ূরগুলির চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
মৃত ময়ূরদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়ূর ছাড়াও ১টি কাক, ৫টি পায়রা ও কয়েকটি অন্য পাখির দেহ পাওয়া গিয়েছে ওই এলাকা থেকে।
স্থানীয় সাংসদ পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বন দফতরের তরফে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তদন্ত শুরুও হয়েছে। এটা বার্ড ফ্লুয়ের বিষয়, নাকি ময়ূরদের মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ময়ূরদের এভাবে একসঙ্গে এতগুলি দেহ পাওয়ার পর রাজস্থান জুড়েই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাইছেন সকলেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা