দেশে আড়াই লক্ষে নামল করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা
নতুন বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নিম্নমুখী ধারা বজায় রইল। সেইসঙ্গে এদিন আড়াই লক্ষে নেমেছে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরের শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর এবং পরে ২০ হাজারি ঘরে নেমে আসে দৈনিক সংক্রমণ। নতুন বছরের প্রথম দিনে ২০ হাজার ৩৫ জন নতুন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছিল। এদিন তা কমে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৭৯ জনে। গত একদিনে দেশে ৮ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৬৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২ লক্ষ কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে ১ কোটি ৩ লক্ষের ঘরে এদিন ঢুকে পড়ল সংক্রমণ। এখন ১ কোটি ৩ লক্ষ ৫ হাজার ৭৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা।
এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে আড়াই লক্ষে নেমে এসেছে।
সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ১৮৩ জনে। একদিনে কমেছে ৪ হাজার ৭১ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ২.৪৩ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দৈনিক ৪০০-র ঘরে, তারপর ৩০০-র ঘরে এবং পরে নেমে ২০০-র ঘরে চলে আসে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। নতুন বছরের শুরুতেও ২০০-র ঘরেই রয়েছে মৃত্যু।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ২১৮ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ হাজার ৯২৬ জন।
যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা নতুন বছরে ১ কোটির দরজায় পৌঁছে গেছে। এদিন দাঁড়িয়েছে ৯৯ লক্ষ ৬ হাজার ৩৮৭ জনে। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা