National

শ্মশানের ছাদ ভেঙে মৃত ২২ শ্মশান যাত্রী

শ্মশানের ছাদ ভেঙে পড়ল শ্মশান যাত্রীদের মাথায়। বিশাল ছাদ ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। ঘটনার পর দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ।

গাজিয়াবাদ : মৃত্যু হয়েছিল পরিজনের। তাঁর শেষকৃত্যে শ্মশানে দেহ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অনেকে। পরিবার, বন্ধু, পাড়াপড়শিরা হাজির হয়েছিলেন শ্মশানে।

দেহ তখন শ্মশানে শায়িত রয়েছে। সেই সময় আচমকাই বৃষ্টি নামে। একে কনকনে ঠান্ডা। তার ওপর প্রবল বৃষ্টি। তাই বৃষ্টিতে ভেজার হাত থেকে বাঁচতে সকলেই আশ্রয় নেন শ্মশানের ছাদের তলায়। এদিকে বৃষ্টি বাড়তে থাকে।


প্রবল বৃষ্টির জেরে বহু পুরনো শ্মশানের ছাদ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এত দ্রুত ওই ঘটনা ঘটে যে যাঁরা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাদের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা নিজেদের বাঁচানোর সুযোগ পর্যন্ত পাননি।

মাথার ওপরই ভেঙে পড়ে বিশাল ছাদ। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান সকলে। মৃত্যু হয় অনেকের। কারণ ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে বার হতে পারেননি কেউই। সকলেই তার তলায় চাপা পড়ে যান।


উদ্ধারকাজ শুরুর পর এক এক করে দেহ বার করে আনতে থাকেন উদ্ধারকারীরা। উদ্ধারে হাজির হয় এনডিআরএফ। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত তারা ২২টি দেহ বার করে আনতে সক্ষম হয়।

মোট প্রায় ৪০ জন ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এঁদের কয়েকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের সকলকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উত্তরপ্রদেশের মুরাদনগরের এই ঘটনার কথা জানার পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি। ট্যুইট করে ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। মেরঠের ডিভিশনাল ম্যানেজার এবং এডিজি-কে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে তার রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।

ঘটনার পর স্থানীয় মানুষের ভিড় জমে যায় এলাকায়। স্থানীয়রাও মানুষজনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বার করে আনার চেষ্টা চালান। উদ্ধারকাজে আনা হয় ক্রেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button