ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লক্ষ পার করল
নতুন বছরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নিম্নমুখী ধারা বজায় রয়েছে। এদিন অবশ্য সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লক্ষ পার করেছে।
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরের শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর এবং পরে ২০ হাজারি ঘরে নেমে আসে দৈনিক সংক্রমণ। নতুন বছরে প্রধানত ২০ হাজারের নিচেই ছিল দৈনিক সংক্রমণ।
গত একদিনে দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৩৯ জন। দেশে ৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৬৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে সামান্য কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে এদিন ১ কোটি ৪ লক্ষের ঘরও পার করল দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। এখন ১ কোটি ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৪১৭ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা।
এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা সামান্য হলেও কমেছে। দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৪৯ জনে। একদিনে কমেছে ২ হাজার ৬৩৪ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার ২.১৬ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দৈনিক ৪০০-র ঘরে, তারপর ৩০০-র ঘরে এবং পরে নেমে ২০০-র ঘরে চলে আসে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।
নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই রয়েছে মৃত্যু। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৩৪ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৭০ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দেশে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। দিল্লিতে ১৯ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ হাজার ৫৩৯ জন। যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি পার করেছে।
এদিন করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ হাজার ৩৯৮ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.৩৯ শতাংশে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা