দীর্ঘদিন পর ভারতে একদিনে মৃত্যু ২০০-র নিচে নামল
নতুন বছরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নিম্নমুখী ধারা বজায় রয়েছে। এক দীর্ঘ সময় পর এদিন ভারতে একদিনে করোনায় মৃত্যু ২০০-র নিচে নামল।
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরের শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর এবং পরে ২০ হাজারি ঘরে নেমে আসে দৈনিক সংক্রমণ। নতুন বছরে প্রধানত ২০ হাজারের নিচেই রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ।
গত একদিনে দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩১১ জন। দেশে ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ২০৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২ লক্ষ কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে ১ কোটি ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে।
যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ২২ হাজার ৫২৬ জনে। একদিনে কমেছে ৮০৯ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার ২.১৩ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দৈনিক ৪০০-র ঘরে, তারপর ৩০০-র ঘরে এবং পরে নেমে ২০০-র ঘরে চলে আসে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।
নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই রয়েছে মৃত্যু। দীর্ঘ দিন পর অবশ্য গত একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ২০০-র নিচে নেমেছে। মৃত্যু হয়েছে ১৬১ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ১৬০ জন। ১.৪৪ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ হাজার ৯৫৯ জন।
দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা আগেই ১ কোটি পার করেছে। এদিন করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯২ হাজার ৯০৯ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.৪৩ শতাংশে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা