ভারতে সংক্রমণ ১ কোটি ৫ লক্ষ পার করল
নতুন বছরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নিম্নমুখী ধারা বজায় রয়েছে। দেশে সংক্রমণ এদিন অবশ্য ১ কোটি ৫ লক্ষের ঘর পার করেছে।
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরের শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর এবং পরে ২০ হাজারি ঘরে নেমে আসে দৈনিক সংক্রমণ। নতুন বছরে প্রধানত ২০ হাজারের নিচেই রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ।
গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪৬ জন। দেশে ৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৯১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে এদিন ১ কোটি ৫ লক্ষের ঘর পার করেছে দেশের মোট সংক্রমণ। ১ কোটি ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা।
এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৬০৩ জনে। একদিনে কমেছে ৯০৪ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার ২.০৩ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ৪০০-র ঘরে, তারপর ৩০০-র ঘরে এবং পরে নেমে ২০০-র ঘরে চলে আসে করোনায় দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা। নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই ছিল মৃত্যু। মাঝে ৩ দিনে ২০০-র নিচে নেমেছিল মৃত্যু। আগের দিন মৃত্যু ফের ২০০-র ঘরে ফেরে। ফের এদিন তা ২০০-র নিচে নেমেছে।
গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৯৮ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭২৭ জন। ১.৪৪ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ হাজার ৬৫২ জন।
দেশে এখন মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৬৩ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৯৬.৫২ শতাংশে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা