মানুষের সঙ্গে রাস্তায় খেলা করছে লেপার্ড, চিন্তিত বিশেষজ্ঞেরা
জনা ২০ যুবকের সঙ্গে রাস্তার ওপর খেলা করছে একটি লেপার্ড। যা দেখে সাধারণ মানুষ আনন্দ পেলেও, বিশেষজ্ঞদের কপালের ভাঁজ পুরু হয়েছে।
সিমলা : চারধার কুয়াশাচ্ছন্ন। পাহাড়ি এলাকা বোঝাই যায়। সেখান দিয়েই চলে গেছে রাস্তা। রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। রয়েছেন জনা ২০ যুবক। সকলের হাতেই প্রায় মোবাইল। আর মোবাইলে চোখ ক্যামেরায়।
কারণ তাঁদের সঙ্গে যে ঘুরছে, খেলা করছে যে জন্তুটি তার মানুষের সঙ্গে সখ্যতার উদাহরণ বড় একটা নেই। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে যে একটি বছর দেড়েক বয়সের লেপার্ড খেলা করছে ওই যুবকদের সঙ্গে।
কখনও লেপার্ড তার পিছনের পায়ে ভর করে উঠে দাঁড়াচ্ছে কোনও যুবককে ভর করে। কখনও যুবকের হাতের জামা ধরে ঝুলে পড়ছে। কখনও পিছু তাড়া করার মত করে খেলছে। আর এ সবই বন্দি হচ্ছে বাকিদের ক্যামেরায়।
লেপার্ডের মতিগতি দেখে এটা পরিস্কার যে কোনওভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য নয়, সে ওখানে ঘুরছে খেলা করার মন নিয়ে। ক্ষতি করতে নয়। যুবকরাও যে লেপার্ডের সঙ্গে খেলার আনন্দ উপভোগ করছেন তাও তাঁদের ভাবগতিক থেকে স্পষ্ট।
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। মানুষ লেপার্ডের সঙ্গে মানুষের এই খেলা দেখছেন। আনন্দ পাচ্ছেন। কিন্তু এই ভিডিও দেখার পর চিন্তার ভাঁজ পুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, লেপার্ড খুবই লাজুক জন্তু। তারা খাবার পেতে মানুষের বসতির ধারে কাছেই জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে। কারণ তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে গ্রামের মানুষের ঘরে থাকা গৃহপালিত জন্তু।
হাঁস, মুরগি থেকে ছাগল, এসবই লেপার্ডের খাদ্যতালিকায় পড়ে। কিন্তু খাদ্যের প্রয়োজনে মানুষের কাছাকাছি থাকলেও তারা মানুষের সঙ্গে মেশে না। মানুষের ধারেকাছেও আসেনা।
এখানেই হতবাক হচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই লেপার্ডটির আচরণ একদম ভিন্ন। সে মানুষের সঙ্গেই মিশতে পছন্দ করছে। তাই লেপার্ডটির ভাবগতিক বুঝতে তাকে নজরে রাখতে চাইছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তাঁরা মনে করছেন লেপার্ডটির এমন আচরণ কিন্তু তার নিজের পক্ষেই ভয়ংকর। কারণ বন্যপ্রাণি হিসাবে তার মধ্যেও সহজাত বন্য প্রবৃত্তি থাকা জরুরি। তবে সে জঙ্গলে বাকিদের সঙ্গে টিকে থাকতে পারবে।
কিন্তু এমন মানুষের সঙ্গে বন্ধুবৎসল লেপার্ডকে অন্য হিংস্র জন্তুর মেরে ফেলার সম্ভাবনা যথেষ্ট। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের তীর্থন উপত্যকায়। এটাও খোঁজ করা হচ্ছে যে এই লেপার্ডটিকে জন্মের পর কোনও মানুষ পোষ মানিয়েছিলেন কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা