দেশজুড়ে ১০ কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হল বৃহস্পতিবার। কর্ণাটকে ২টি আসনের মধ্যে ২টিই গেছে কংগ্রেসের দখলে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের দখলে থাকা দক্ষিণ কাঁথি রইল তৃণমূলের ঝুলিতেই। ঝাড়খণ্ডের লিট্টিপাড়ার দখল নিয়েছে জেএমএম। কিন্তু বাদবাকি সর্বত্র গেরুয়া ঝড় বয়ে গেছে। এমনকি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিল্লিতে কার্যত ধুয়ে মুছে গেছে আপের ঝাঁটা। দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন থেকে বিপুল জয় পেয়েছেন বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো আকালি দলের নেতা মনঝিন্দর সিং সির্সা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছেন আপ প্রার্থী। এদিকে মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় বিধানসভা আসনে বিজেপি তাদের আসন ধরে রেখেছে। এখানে বিজেপি প্রার্থী শিবনারায়ণ সিং জয়ী হয়েছেন। এই রাজ্যের অপর কেন্দ্র আতেরে যদিও কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। বিজেপি প্রার্থী অরবিন্দ সিং ভাদোরিয়াকে সমানে টক্কর দিয়ে গেছেন কংগ্রেস প্রার্থী হেমন্ট কাটারে। অসমের ধেমাজি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীকে ৯ হাজারের বেশি ভোটে পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রানোজ পেগু। রাজস্থানের ঢোলপুর আসনেও বিজেপির জয়জয়কার। এখানে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী শোভা রানি। হিমাচলপ্রদেশের ভোরাঞ্জ বিধানসভা আসনটিও ধরে রেখেছে বিজেপি। গত ৬ বার এখান থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন ঈশ্বর দাস ধীমান। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি ফাঁকা হওয়ার পর এদিন সেই আসন থেকে জিতলেন তাঁর পুত্র অনিল ধীমান। ঝাড়খণ্ডের লিট্টিপাড়া বিধানসভা আসনে এগিয়ে আছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রার্থী সিমন মারান্ডি। একমাত্র কর্ণাটকে বিজেপিকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস। এখানে ২টি কেন্দ্রে ভোট হয়। নানজরগুড় ও গুন্দলুপেট, এই ২ কেন্দ্রেই জয় পেয়েছে কংগ্রেস।