প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশে ১০ হাজারের নিচে সংক্রমণ
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন স্বস্তি দিয়ে দেশে ১০ হাজারেরও নিচে নামল দৈনিক সংক্রমণ। মৃত্যুও যেখানে নেমেছে গত ৮ মাসে সেখানে নামেনি।
নয়াদিল্লি : নতুন বছরের শুরু থেকে প্রধানত ২০ হাজারের নিচেই রয়েছে দেশে দৈনিক সংক্রমণ। এরমধ্যেই নামা ওঠা চলছে। এমনকি ১০ হাজারি ঘরেও এরমধ্যে পৌঁছেছিল সংক্রমণ। তবে সেই ঘর ধরে রাখতে পারেনি তা।
মূলত ২০ হাজারের নিচেই ঘুরপাক খাচ্ছিল সংক্রমণ। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে যে খতিয়ান সামনে এল তাতে গোটা দেশ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল। ১০ হাজারেরও নিচে নেমে গেল একদিনে সংক্রমণ।
গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ১০২ জন। দেশে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৭৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২ লক্ষ বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে এদিন ১ কোটি ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে।
এদিন দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৬৬ জনে। একদিনে কমেছে ৬ হাজার ৯১৬ জন। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৬৬ শতাংশে।
নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। এখন তা আরও কমেছে। দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ২০০-র নিচেই থাকছে।
গত একদিনে মৃতের সংখ্যা যেখানে নেমেছে তা গত ৮ মাসে দেখা যায়নি। মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৮৭ জন। ১.৪৪ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। ছত্তিসগড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
কেরালায় দৈনিক সংক্রমণ এখন দেশের মধ্যে সর্বাধিক। মহারাষ্ট্রকে সংক্রমণের নিরিখে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে দাক্ষিণাত্যের এই রাজ্য।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ৯০১ জন।
যার হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৮৫ জন। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৯০ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা